ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বামনীর ভাঙ্গনের কবলে বাড়ি ও ফসলি জমি

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

বামনীর ভাঙ্গনের কবলে বাড়ি ও ফসলি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ২৭ নবেম্বর ॥ বামনী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চরগাঙচিল ও চরপল্লবীর বাড়িঘর, মাছের খামার ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে গাঙচিলের সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পও। এতে ওই প্রকল্পে বসবাসকারী ৩১০ ভূমিহীন পরিবার নতুন করে গৃহহারা হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সরেজমিনে ভাঙ্গনকবলিত চরগাঙচিল ও চরপল্লবী ঘুরে দেখা যায়- বামনী নদীর ভাঙ্গনে চর দুটির বাড়ি-ঘর, ফসলি জমির পাশাপাশি ‘কোম্পানীগঞ্জ এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে একটি বৃহৎ মাছের খামারও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গন থেকে মাত্র ২০০-৩০০ গজ দূরে রয়েছে দক্ষিণ চরগাঙচিল সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্প। ভাঙ্গনে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পটিও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটিতে বর্তমানে ৩১০ পরিবার বসবাস করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই-তিন মাসে চরগাঙচিল ও পল্লবীর বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভিটেমাটি হারিয়েছেন এক শ’র বেশি পরিবার। নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে কয়েক শ’ একর ফসলি জমি। ভিটেমাটিহারা পরিবারগুলোর কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিত্যক্ত ঘরে কিংবা খালি জায়গা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙ্গনে বসতভিটা হারানো দেলোয়ার হোসেন জানান, সাত-আট বছর আগে চরগাঙচিলে বসতি গড়েছিলেন। দুই মাস আগে বামনী নদীর ভাঙ্গনে তার বসতভিটা হারিয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে এখন এই আশ্রয় কেন্দ্রের জায়গায় ঠাঁই নিয়েছেন। চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মালেক জানান, বামনী নদীর ভাঙ্গনে গত দুই-তিন মাসে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। বর্তমানেও ভাঙ্গন আছে এবং ভাঙ্গনের কারণে গাঙচিলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-বাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। পাউবো নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, বামনী নদীর মূল খাল বন্ধ করে সেখানে একটি ক্লোজার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী বছর নাগাদ ক্লোজারটি নির্মাণ করা হতে পারে। তবে সরকারী আশ্রয়ণ রক্ষায় বর্তমান ভাঙ্গনের অবস্থা দেখে তা প্রতিরোধ করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানান তিনি।
×