ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে ভূমিকা রাখুন ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে ভূমিকা রাখুন ॥ স্পীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে ভূমিকা রাখার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সফররত রোটারি ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার স্পীকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন পল এ. নেটজেল। এ সময় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১ এর গবর্নর রোটারিয়ান এফ এইচ আরিফ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারিয়ান কান্তারা কে খান, রোটারিয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতকালে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কট ও রোটারি কার্যক্রমসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ৬৩তম সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় স্পীকারকে অভিনন্দন জানান রোটারি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান। স্পীকার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন হতে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত- যাদের কাছ থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহারা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নবদিগন্ত। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। মানবেতর জীবন যাপনকারী নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার জন্য তিনি রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে পল এ. নেটজেল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, ক্যান্সার হসপিটাল, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারি ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। এ সময় স্পীকার রোটারি কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০। সংসদ, বেসরকারী অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে রোটারির কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
×