ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৩ নবেম্বর ॥ প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে একই উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের মেম্বার মোশারফ হোসেন শিপল সরদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পারভীন বেগম ভেদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল না পেয়ে সোমবার ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও উক্ত লম্পট মেম্বারের বিচার দাবিতে স্থানীয় ১৪১ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ সোমবার জেলা প্রশাসক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ পারভীন বেগম জানিয়েছেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী রহমান মল্লিকের সঙ্গে একই উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোশারফ হোসেন শিপলের বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে দুবাই প্রবাসী রহমান মল্লিকের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত মোশারফ হোসেন শিপল সরদার। অভিযোগ ওঠেছে, মোশারফ হোসেন শিপল মেম্বার তার বন্ধুর স্ত্রী পারভীন বেগমের গোসলখানায় গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পারভীন বেগমকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছে। শিপল মেম্বার পারভীনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে রহমান মল্লিক তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পারভীন বেগম বলেন, শিপল মেম্বার আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আমার সাজানো সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। আমি ওর বিচার চাই। একই এলাকার হাজেরা বেগম, শরীফ মল্লিক, ছাত্তার গাজী, ইমরান বন্দুকসি, সজল সিকদার, ইমামুল শিকারী বলেন, এ ঘটনায় গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়েছে। শিপল মেম্বার পারভীনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও কয়েক দফা ধর্ষণ করেছে। এছাড়াও সে অন্য নারীদের যৌন হয়রানি করেছে। অনেকেই লোকলজ্জার ভয়ে থানায় কোন অভিযোগ করছে না। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে লম্পট মোশারফ হোসেন শিপল মেম্বারের বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদার বলেন, আমার পরিষদের সদস্য শিপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শিপল সরদার বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য পারভীনকে লেলিয়ে দিয়েছে।
×