স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে লাগেজ ছাড়াই ফ্লাইট নিয়ে ইয়াঙ্গুন যাবার ঘটনায় বিমানের তিন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- বিমানের স্টেশন ম্যানেজার আতিয়ার রহমান, ট্রানজিট সেলের সাইফুল ইসলাম ও ব্যাগেজ এরিয়ার মাহফুজ। বিমানের মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, যারাই এমন দায়িত্বহীনতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই একশন নেয়া হবে। সেজন্যই কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং শাখার এমন দায়িত্বহীনতার কারণে একদিকে বিমানকে গুনতে হচ্ছে যাত্রী প্রতি মোটা অঙ্কের জরিমানা- অন্যদিকে বেশ ক’জন ইউরোপীয় যাত্রীর কাছে নষ্ট হয়েছে বিমানের ভাবমূর্তি। এ ঘটনায় ইয়াঙ্গুনেই বিমানকে নগদ জরিমানা গুনতে হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানের ইয়াঙ্গুনগামী বিজি-০৬০ ফ্লাইটে ৭৪ আসনের মধ্যে ৩৯ জন যাত্রী অনবোর্ড ছিলেন। উড্ডয়নের পূর্বে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন আনিছুর রহমানের কাছে ‘লোড শিট’ বুঝিয়ে দেন বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং শাখায় কর্তব্যরতরা। যথাসময়ে ইয়াঙ্গুনে অবতরণের পর যাত্রীরা ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে ব্যাগেজ সংগ্রহ করতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে ২৩ জন যাত্রী ব্যাগেজ সংগ্রহ করতে পারলেও ১৬ জন যাত্রী তাদের ব্যাগেজ পাননি। দুই ঘণ্টা পর বিমানের ইয়াঙ্গুন স্টেশনের কর্মীরা জানান, তাদের ব্যাগেজ ঢাকা থেকেই আসেনি। এ সময় ইটালিয়ান যাত্রী সিলভিয়া হতভম্ব হয়ে পড়েন। একজন বিমান কর্মী জানান, তাদের সাময়িক অসুবিধার জন্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এ বিষয়ে আনন্দ নামে একজন যাত্রী জানান, আমার পরিবারের সমস্ত কাপড়- চোপড় ও শিশুখাদ্য দুই ব্যাগেজে। ভ্রমণ করতে এসে বিমানের দায়িত্বহীন কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কা-ের খেসারত দিচ্ছি আমরা। কবেনাগাদ ব্যাগেজ পৌঁছানো হবে বলতে পারছেন না বিমানকর্মীরা।