ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘খিচুড়ি’ ঝড়

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৪ নভেম্বর ২০১৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘খিচুড়ি’ ঝড়

খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন না, এমন বাঙালী বোধ হয় খুব কমই আছেন। শুধু বাঙালী নয়, নানাভাবে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়ার চল রয়েছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও। কিন্তু খিচুড়ি শুধু এখন খাবার পাতে মুখরোচক মেনু হিসেবে নেই। খিচুড়ি নিয়ে এখন ভারতের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে চলছে জোর আলাপ। সামাজিক মাধ্যমে অনেক ভারতীয়র পোস্ট এবং কমেন্ট চলছে খিচুড়ি ঘিরে। ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই মুহূর্তে দিল্লীতে চলছে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’ নামে একটি ইভেন্ট। তারই অঙ্গ হিসেবে নামজাদা শেফ সঞ্জীব কাপুর দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে ৮শ’ কেজি খিচুড়ি রান্না করে একটা বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করবেন চৌঠা নবেম্বর। তাকেই কেন্দ্র্র করে কয়দিন আগে খবর রটে যে খিচুড়িকে ভারতের জাতীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। তারপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে উঠেছে মন্তব্যর ঝড়, চলছে নানা রসিকতা। যদিও ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমত কৌর বাদল টুইট করে জানিয়েছেন যে খিচুড়িকে জাতীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনাই সরকারের নেই। কাল্পনিক জাতীয় খাদ্য নিয়ে অনেক খিচুড়ি পাকানো হয়েছে। একটা বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য খিচুড়িকে বেছে নেয়া হয়েছে, টুইটারে লিখেছেন বাদল। খিচুড়ি রান্না বা হিন্দিতে খিচুড়ি পাকানোর একটা অন্য অর্থ আছে। সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে ফেলারই মোটামুটি হিন্দি অর্থ ‘খিচুড়ি পাকানা’ বা খিচুড়ি রান্না করা। মন্ত্রীর মন্তব্যর পরেও খিচুড়ি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ‘খিচুড়ি পাকানা’ বন্ধ হয়নি। আলোচনা, ব্যঙ্গ, রসিকতা চলছেই। আর সেগুলোর বেশিরভাগেরই টার্গেট বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।-বিবিসি অবলম্বনে।
×