স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার স্বর্ণগ্রাম রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। জরাজীর্ণ ভবনটির দীর্ঘদিন যাবত কোন সংস্কার না হওয়ায় ভবনের ছাদ খসে এবং দেয়ালের পলেস্তরা উঠে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়তই খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা। ১১৯ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ ভবনটির স্থানে স্থানে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের মাথায় কিংবা শরীরে ভেঙ্গে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা। বিদ্যালয়ের দেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অনেক ফাটল আর বৃষ্টি হলেই এসব ফাটল দিয়ে পানি এসে পুরো মেঝেতে পানি জমে যায়। এ বিদ্যালয়ে নতুন-পুরনো মিলিয়ে অনেকগুলো ভবন থাকলেও ১১শ’ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবনে সঙ্কুলান না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতেও চলছে পাঠদান। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ঐতিহ্যবাহী ও পুরনো এ বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নত হলেও উন্ননয় হয়নি বিদ্যালয়টির ভবনের। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের। প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ জানান, বৃষ্টি মৌসুমে ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে থাকে। ওই সময় ভবনের ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে।
ছাদের পলেস্তরা খুলে ছাত্রছাত্রীদের গায়েও পড়ে। পুরনো জরাজীর্ণ ভবন ভেজা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। সে কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃষ্টির মৌসুমে কমে যায়। এ বিষয়ে কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হালদার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। আমি ভবনটি সংস্কারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার খালেদা পারভিন জানান, স্বর্ণগ্রাম রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের পেছনে একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে।