ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাকরাইলে মা ও ছেলেকে জবাই

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২ নভেম্বর ২০১৭

কাকরাইলে মা ও ছেলেকে জবাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কাকরাইলে একটি বাসায় ঢুকে মা ও ছেলেকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম দিকে তমা সেন্টারের পাশের গলির ৭৯/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে বুধবার সন্ধ্যায় এই হত্যাকা- ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই ভবনের মালিক আব্দুল করিমের স্ত্রী শামসুন্নাহার ও তার ছোট ছেলে শাওন। বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী করিম তখন ঘরে ছিলেন না। কী কারণে এই হত্যাকা- ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পুলিশ গৃহকর্তা করিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, নিহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শাওনের মাথার কাছে একটি ছুরি পড়ে ছিল বলে জানান তিনি। বাসার গৃহকর্মী রাশিদা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ কেউ রান্নাঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। চিৎকার করে বলেছিলাম, আম্মা দরজা বন্ধ করলেন কেন, দরজা খোলেন। কিন্তু কারও কোন সাড়া পাইনি, দরজাও কেউ খোলেনি। এর মধ্যে চিৎকার শুনি। কিছুক্ষণ পর বাড়ির দারোয়ান এসে ছিটকিনি খুলে দেয়। দারোয়ান নোমান জানিয়েছে, ওপর থেকে একজন লোক নিচে এসে বলে, ‘ওপরে যান, সেখানে মারামারি লাগছে’। তখন তিনি ওপরে উঠে পাঁচ তলার সিঁড়িতে শাওনের লাশ ও ভেতরে শামসুন্নাহারের লাশ দেখতে পান। ভবনের নিচ তলার একটি অফিসের কর্মচারী স্বপন বলেন, আমরা নিচেই কাজ করছিলাম। কোন ধরনের হৈ-হুল্লোড় শুনিনি। শুধু দারোয়ান বলেছিল, ওপরে মারামারি লাগছে। এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নেয়া হয়। গৃহকর্তা করিম, দারোয়ান নোমান ও গৃহকর্মী রাশিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শামসুন্নাহার। তাদের বড় ছেলে মুন্না যুক্তরাজ্যে থাকেন বেশ আগে থেকে; মেজ ছেলে অনিক কানাডায় গেছেন কয়েক মাস হলো। বাড়ির মালিক করিমের নয়া পল্টনে পলওয়েল মার্কেটে দোকান রয়েছে। এছাড়া ‘গ্রোসারি ব্যবসার’ সঙ্গেও তিনি যুক্ত বলে কৃষ্ণপদ রায় জানান। সেখানে করিমের দুটি ছয়তলা ভবন, যার সামনেরটিতে হত্যাকা- ঘটে। বাসার পেছনের ভবনের এক বাসিন্দা সাংবাদিকদের জানান, এ দুটি ভবনের কলাপসিবল গেট সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দারোয়ান একজনই নোমান। ভাড়াটিয়ারা জানান, পঞ্চম তলার এক পাশে করিম স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছোট ছেলে শাওনকে নিয়ে থাকতেন। অন্য পাশে কেউ থাকতেন না। শামসুন্নাহার হজ করে এসেছিলেন জানিয়ে এক ভাড়াটিয়া বলেন, এখানে অনেক মহিলা আসত। অন্যপাশের খালি ফ্ল্যাটে তারা থাকতও।
×