ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজিজা হত্যা

প্রধান আসামি চাচি ও তার মা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১ নভেম্বর ২০১৭

প্রধান আসামি চাচি ও তার মা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট ও নরসিংদী ॥ কিশোরী স্কুল ছাত্রী আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিউটি বেগম (২৬) ও তার মা সারোয়ারা বেগম (৫০) কে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার ভোরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মিরেরগাঁও থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে র‌্যাব-৯ সূত্রে জানা যায়। সূত্রটি জানায়, বিউটি (২৬) ও তার মা সারোয়ারা বেগম (৫০) পালিয়ে বিশ্বনাথের এক বাড়িতে আত্মগোপন করেছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে । উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে নরসিংদী জেলাধীন শিবপুর উপজেলার খৈনকুট গ্রামের আবদুস ছাত্তারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আজিজাকে আগুনে পুড়িয়ে দগ্ধ করা হয়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী ভাই আবদুস ছালামের স্ত্রী বিউটি, ফুফু তমুজা বেগম, তাদের প্রতিবেশী রুবেলসহ ৪ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন আজিজার পিতা আবদুস ছাত্তার। মামলার আসামিদের মধ্যে তমুজাকে ঘটনার পরের দিন গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত। বিউটি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ও অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় আজিজাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তমুজা বেগম পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। শিবপুর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতারকৃত বিউটি ও তার মাকে থানায় সোপর্দ করবে র‌্যাব। র‌্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, আজিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিউটি বেগম ও আরেক আসামি সারোয়ারা বেগম ঘটনার পরপরই সিলেটে পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের শিবপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে তিন-চারজন যুবক আজিজাকে জোর করে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে বাড়ির কাছে একটি কাঁঠাল বাগানে চিৎকার শুনে স্বজনরা সেখানে গেলে আজিজাকে হাত-পা বাঁধা ও ঝলসানো অবস্থায় পান। শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
×