ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

বিচিত্র তথ্য

ওজন বাড়লেই পরীক্ষায় ফেল পরীক্ষায় পাসের প্রথম শর্ত হচ্ছে ভাল লেখাপড়া। কিন্তু নানজিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ভাল লেখাপড়া করলেই ছাত্ররা পরীক্ষায় পাস করতে পারে না। কারণ এখানে পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্রকে একটি নির্দিষ্ট শারীরিক ওজনের অধিকারী হতে হয়। শুনতে অদ্ভুত ও হাস্যকর মনে হলেও সম্প্রতি চীনের জিয়াংসু প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়টি এই নিয়ম চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় মাসব্যাপী একটি সেমিস্টারের ষাট শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে ওজন কমানোর ওপর। বাকি চল্লিশ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ তাদের একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর। প্রতিটি সেমিস্টারের শুরুতে প্রত্যেক ছাত্রকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাদের সঠিক ওজন পরিমাপ করাতে হয়। যদি কারও শরীরে মেদের পরিমাণ তার ওজনের ত্রিশ শতাংশ বেশি হয় তবে তাকে ওই সেমিস্টার শেষ হওয়ার পূর্বে অবশ্যই কঠোর অনুশীলন ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে বাড়তি মেদ ঝরাতে হবে। তবেই মিলবে সেমিস্টারের সম্পূর্ণ নম্বর। তবে যাদের ওজন কম, তাদের বেঁচে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ তাদের জন্যও প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন শারীর চর্চা ক্লাসে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অদ্ভুত এই ধারণাটি জো কুয়ানফু নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি বলেন, ‘আমি জেনে অবাক হয়েছি যে, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী নিয়মিত শরীরচর্চা করে না। ফলে তারা মুটিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তাই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আশা করি ছাত্ররা অন্তত তাদের পরীক্ষায় পাসের নম্বরের জন্য হলেও নিয়মিত শরীরচর্চা করবে।’ ফিল্টার পরিষ্কার করবে কাক এক জরিপে জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ছয় ট্রিলিয়ন সিগারেট খাওয়া হয়। ধূমপায়ীরা সিগারেট খাওয়ার পর ফিল্টার যেখানে-সেখানে ফেলে দেন। এতে পরিবেশ নোংরা হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সিগারেটের ফিল্টারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য ডেনমার্কের দু’জন নকশাবিদ একটি অদ্ভুত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তারা কাকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে চাইছেন যেন নগরের পরিছন্নতাকর্মীর বদলে তারাই সিগারেটের ফিল্টার তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিতে পারে। রুবেন এবং বব নামের এই দু’জন কারখানা নকশাবিদ প্রথমে রোবট দ্বারা এই কাজ করার চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু রোবট প্রোগ্রামিং অনেক জটিল হওয়ায় তারা এই চিন্তা থেকে সরে আসেন। এরপর তারা কাকদের নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেন। কারণ, কাক যেমন বুদ্ধিমান এবং শহর অঞ্চলে এদের আধিক্যও বেশি। রুবেন এবং ববের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন জস ক্লেন নামের আরেক নকশাবিদ। তিনি একটি ‘ক্রো-বক্স’ তৈরি করেছেন। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন কাকেরা এর মধ্যে সিগারেটের ফিল্টার ফেললে বাদাম বা শস্য জাতীয় খাবার পায়। খাবারের লোভেই কাক ‘ক্রো-বক্সের’ মধ্যে আরও বেশি সিগারেটের ফিল্টার ফেলতে উৎসাহিত হয়। টিএনডব্লিউকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রুবেন এবং বব বলেন, ‘আমরা খাদ্যের বিনিময়ে কাকদের এই কাজে উৎসাহিত করব। আমরা নিশ্চিত যে কাকেরা এটি অতি দ্রুত শিখে যাবে।’ অনেকে তাদের এই পরিকল্পনার ব্যাপারে সন্ধিহান থাকলেও অধ্যাপক মার্জলাফ তাদের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘পোষা কাক অনেক সময় মালিকের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবার এমনকি সিগারেট পর্যন্ত চুরি করে আনে। ফলে তাদের প্রশিক্ষণ দিলে তারা যে সিগারেটের ফিল্টার কুড়িয়ে ক্রো-বক্সে ফেলবে এটা নিশ্চিত। শাহিদুল ইসলাম
×