ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

রাজাকার ও পাকসেনা গুলিকরলে আমি জ্ঞান হারাই,পরে দেখি পানি লাল

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

রাজাকার ও পাকসেনা গুলিকরলে আমি জ্ঞান হারাই,পরে দেখি পানি লাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের নবম সাক্ষী সুরোধ মালাকার জবানবন্দী প্রদান করেছেন। তিনি জবানবন্দীতে বলেন, রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা আমাকে আমার বাবা, চাচা, মামাকে আটক করে হীরণ বাবুর পুকুরপাড়ে নিয়ে য়ায়। সেখানে আমাদের বিবস্ত্র করে পানিতে ফেলে পিটিয়ে আহত করে। এর পর গুলি থেকে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। আমার জ্ঞান ফিরলে দেখতে পাই পুকুরের পানি লাল হয়ে গেছে। রাজাকাররা আমাদের বাড়ি লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা মহিলাদের নির্যাতন করেছিল। সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য ৭ নবেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের পাগলা থানার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক ছয় আসামিকে গ্রেফতারে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ নবেম্বর। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছে। খলিলুর রহমানসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের পাগলা থানার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক ছয় আসামিকে গ্রেফতারে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলার ১১ আসামি হলো মোঃ খলিলুর রহমান মীর, মোঃ সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন, রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী। এরা সবাই বর্তমানে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত।
×