ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙ্গে পড়া সেতু সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২২ অক্টোবর ২০১৭

ভেঙ্গে পড়া সেতু সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২১ অক্টোবর ॥ ধামইরহাট উপজেলার বড়থা বাজার এলাকায় মাতাজীহাট-ফতেপুর সড়কের ওপর স্থাপিত একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এতে ধামইরহাট উপজেলা সদর ও নওগাঁ জেলা শহরে যাতায়াত করতে ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই ভাঙ্গা ব্রিজের কারণে বন্ধ আছে বাস চলাচল। বড়থা বাজারের স্থানীয়রা জানান, ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বড়থা বাজার এলাকায় মাতাজীহাট-ফতেপুর সড়কের ওপর স্থাপিত সেতুটি বন্যার পানির তোড়ে গত ১৭ আগস্ট ধসে পড়ে। এতে ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর, উমার, আলমপুর, ইসবপুর ও পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা অনেক পথ ঘুরে জেলা শহর ও ধামইরহাট উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির পুরো অংশ ধসে পড়েছে। ভাঙ্গা সেতুর এক পাশে বাঁশের চাটা (সাঁকো) তৈরি করা হয়েছে। সেই চাটা দিয়ে হেঁটে চলাচল করছে মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল ও মোটরসাইকেলও পার হচ্ছে। ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের সেননগর গ্রামের আলহাজ জামাল উদ্দিন বলেন, মাতাজীহাট-ফতেপুর সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, চার্জার অটোরিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলে জেলা শহরে যেতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত। সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় এখন পত্নীতলার নজিপুর হয়ে ঘুরে নওগাঁ শহরে যেতে হচ্ছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় বেশি লাগছে। বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে তাদের। আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, ‘সেতুটি যেদিন ভেঙ্গে যায়, ওই দিনই বিষয়টি ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হলেও সেতুটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে স্থানীয় লোকজন অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় হাট-বাজারে পণ্য পরিবহনে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বলেন, ‘বন্যার কারণে ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেতুটি সংস্কারের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি রাজশাহী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয়ের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গেছেন। আশা করছি দু-চার দিনের মধ্যে সেতুটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই সেতুটির মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
×