ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় সুচি জাতিসংঘ অধিবেশনে যাননি

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় সুচি জাতিসংঘ অধিবেশনে যাননি

জনকন্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সেনা অভিযানকে কেন্দ্র করে দেশটির বেসামরিক সরকারের প্রধান আউং সান সুচি ও সেনাবাহিনী প্রধানের মধ্যকার বিরোধ সামনে চলে আসছে। দেশটিতে নিযুক্ত কূটনীতিকরা আগেই আশঙ্কা জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী চাইছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠুন সুচি। আর এবার জানা গেল, সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কাতেই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সুচি যোগ দেননি। খবর ওয়েবসাইটের। মিয়ানমারের নির্বাসিত কয়েকজন সাংবাদিকের থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক বিশেষধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার জবাব দেয়ার চেয়েও দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বেশি চাপের মুখে ছিলেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সুচি। ফলে অধিবেশনে যোগ দেয়ার চেয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো মোকাবেলাই প্রাধান্য পেয়েছে সুচির কাছে। মিয়ানমার সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে ইরাবতির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাখাইনে সহিংসতা শুরুর সময় থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ হতিন কিয়াউ ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা ক্লিয়ারেন্স অভিযানের সময় রাখাইনে জরুরী আইন জারি করতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সুচি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে সেনাবাহিনী সেখানে জরুরী অবস্থার জারি করতে পারত। কিন্তু রাখাইনে সঙ্কট শুরুর প্রথম দিন থেকেই সুচি জরুরী অবস্থা জারির বিরোধিতা করে আসছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ মুইন্ট সয়ে একজন সাবেক শীর্ষ জেনারেল এবং ইউ থেইন সেইন সরকারের শাসনামলে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সাবেক সেনা শাসক সিনিয়র জেনারেল থান শয়ের আমলে সেনাবাহিনীর কট্টরপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাকেই জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার জন্য পাঠান সুচি। আর সুচি নিজে কূটনীতিকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।
×