ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের নির্দেশ

রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে নগরীর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে নগরীর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিদিন রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহ করে তা ঢাকনাযুক্ত পরিবহনের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং ঢাকনাযুক্ত পরিবহনের মাধ্যমে বর্জ্য পরিবহনে নগর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। রুলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ঢাকনাযুক্ত আবদ্ধ যান ব্যবহারে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট বিধি প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, আইনসচিব, পরিবেশসচিব, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ১৫ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শুনানির পর ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, নির্ধারিত সময়ে এবং ঢাকনাযুক্ত ট্রাকে বর্জ্য পরিবহনে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না এবং সিটি কর্পোরেশন আইনের ৪১ ধারা অনুসারে একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত। আদালত আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছে বলে জানান রিটকারী এ আইনজীবী। গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শহরে বর্জ্য ছড়াচ্ছে ৩৭৮ খোলা ট্রাক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, ধানম-ি, বংশাল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, বিজয় সরণি, বাড্ডা, তেজগাঁও রেলগেট, মোহাম্মদপুর ও গাবতলী এলাকায় অন্তত ১৫টি খোলা ট্রাকে এভাবে বর্জ্য বহন করতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটিতে ত্রিপল ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাও সেগুলো ছিল ছেঁড়া’। ‘জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ১৪০টি খোলা ট্রাকে বর্জ্য পরিবহন করে। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) খোলা ট্রাক আছে ২৩৮টি। রাজপথে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ময়লাবাহী ট্রাকগুলো যায় দুটি গন্তব্যে। ঢাকা দক্ষিণের ময়লা নেয়া হয় মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে এবং উত্তরের ময়লা ফেলা হয় আমিনবাজারের ল্যান্ডফিলে।
×