ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চে গুয়েভারা কিভাবে ধরা পড়েছিলেন

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

চে গুয়েভারা কিভাবে ধরা পড়েছিলেন

লাতিন আমেরিকার অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী চে গুয়াভারার হত্যার ৫০তম বার্ষিকী অতিক্রান্ত হলো গত ৯ অক্টোবর। সেই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের স্মৃতি আজও বলিভিয়ার লা হিগুয়েরা গ্রামের মানুষকে তাড়া করে ফেরে। তাদেরই একজন ইরমা রোসালেস। আজ কয়েক দশক ধরে ছোট্ট একটা দোকান চালাচ্ছেন এই মহিলা। ৫০ বছর আগে ওখানকার এক স্কুলগৃহে এক আগন্তুককে গুলি করে মারার ঘটনাটি তিনি আজও ভুলতে পারেন না। রোসালেসের ভাষায় : ‘লোকটির মাথার চুল ছিল লম্বা ও তেলচিটে। কাপড় চোপড় এত নোংড়া যে মনে হয়েছিল কোন মেকানিক-টেকানিক হবে।’ রোসালেসের মনে আছে সৈন্যদের গুলিতে তার শরীরটা ঝাঁজরা হওয়ার কিছু আগে সে তার জন্য এক বাটি স্যুপ নিয়ে এসেছিল। লোকটা কিছুই বলেনি। আর্জেন্টিনার ভবঘুরে ডাক্তার আর্নেস্টো চে গুয়েভারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্র নিয়ে পৃথিবীর এক তল্লাট থেকে আরেক তল্লাটে ছুটে গেছেন। কিউবা থেকে কঙ্গো পর্যন্ত গেরিলা যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কুখ্যাত বে অব পিগস হামলার সময় আমেরিকাকে তিনি কোণঠাসা করে ছেড়েছিলেন। জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করেছিলেন এমন এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার কথা সেখানে সাম্রাজ্যবাদের কোন আধিপত্য থাকবে না। তার পাহাড়ের মতো সুউচ্চ মহিমান্বিত জীবনকে ছাপিয়ে উঠেছিল নানা কল্পকাহিনী, যার উৎপত্তি ঘটে তার মৃত্যুর পর। তারকাখচিত ক্যাপ পরা তার শ্মশ্রুম-িত চেহারাটা সারা বিশ্বের রোমান্টিক বিপ্লবীদের কাছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একজন আদর্শ বিপ্লবীর প্রতীকে পরিণত হয়। যা কলেজ ডরমিটরির রুম থেকে শুরু করে জঙ্গলের শিবিরের জঙ্গী পর্যন্ত সবার কাছে শোভা পেতে থাকে। লা হিগুয়েরা নামে যে গ্রামটির কথা প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছে সেই গ্রামের সেই সময়কার মানুষের কাছে তখনকার এক সংক্ষিপ্ত অথচ রক্তাক্ত অধ্যায়ের কাহিনী জানা যাবে যার মধ্যে মিথ নেই, কল্পকথা নেই, আছে রূঢ় বাস্তবতা। চে গুয়েভারা ও তার সঙ্গী গেরিলারা সাম্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই পাহাড়ী পল্লীর বিস্তৃত প্রায় প্রান্তে প্রথম হাজির হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে এই নিভৃত গ্রামটি রণাঙ্গনে পরিণত হয়ে যায়। নিজেদেরই শরীরের রক্তের স্রোতের মধ্যে গেরিলাদের টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য গ্রামবাসীর অহরহই চোখে পড়তে থাকে। ওই গ্রামে গেরিলাদের সঙ্গে সরকারী বাহিনীর লড়াই শুরু হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে চে নিহত হন। কিন্তু তার মৃত্যু লাতিন আমেরিকার বুকে বিপ্লবের আগুন নিভাতে পারেনি। বরং তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে অন্যান্য দেশে যেমন কলম্বিয়ায়, ভেনিজুয়েলায়, এমনকি মধ্য আমেরিকার নিকারাগুয়ায়। বলিভিয়ায় তো বামপন্থীরাই এখন ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক। গুয়েভারার জীবনীকার জন লী এন্ডারসন তার দেহাবশেষ আবিষ্কারে চাবিকাঠির ভূমিকা পালন করেছিলেন। চেকে হত্যার পর সৈন্যরা তার লাশ এমনভাবে মাটিচাপা দিয়ে রাখে যেন কাকপক্ষীও এর হদিস না পায়। কিন্তু যে মানুষটি আলোকবর্তিকার মতো লাতিন আমেরিকার সর্বত্র বিরাজমান তার দেহাবশেষ কতদিন আর চেপে রাখা যাবে। ১৯৯০-এর দশকে ঠিকই আবিষ্কৃত হয় সেই স্থান যেখানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। পরে সেই দেহাবশেষ কিউবায় এনে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাখা হয়। স্র্র্র্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে ছিলেন চে মৃত্যুর কয়েক বছর আগে গুয়েভারা কোথায় আছেন না আছেন তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। একজন বিপ্লবী যেন তারারাতি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন। সেটা ১৯৬৫ সালের কথা। তার আগে ১৯৫৯ সালে কিউবায় কমিউনিস্ট বিপ্লব জয়যুক্ত হওয়ার পর তিনি দেশকে নিরাপদ করার কাজে ও দেশ পরিচালনায় সাহায্য করেছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন তিনি। তারপর ১৯৬৫ সালের একদিন তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। কেউ বলে, ফিদেল ক্যাস্ট্রো তাকে দেশের বাইরে বিপ্লব সংঘটিত করতে পাঠিয়েছিলেন। আবার কেউ বলে, ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে তার মতান্তর ঘটেছিল। তাই তিনি চলে যান। তিনি কঙ্গোয় বিপ্লবী মিশন নিয়ে যান। সেখানে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঞ্জানিয়ার তৎকালীন রাজধানী দারেস সালাম ও চেকোস্লোভাকিয়ার রাজধানী প্রাগের নিরাপদ স্থানগুলোর মধ্যে যাওয়া আসা করতে থাকেন। ১৯৬৭ সালে জুয়ান কার্লোস সালাজার নামে ২১ বছরের এক বলিভীয় রিপোর্টার তার জীবনের প্রথম বড় ধরনের প্রতিবেদন কাহিনীর সন্ধান করতে গিয়ে চে সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে যান। তিনি লিখেছেন, ‘সে সময় লোকে বলত, ফিদেল তাকে মেরে ফেলেছেন। অন্যরা বলত, উনি মারা গেছেন সান্তা ডোমিংগোয়। আবার কেউ বলত, উনি ভিয়েতনামে আছেন। ওরা তাকে এখানে রেখেছে, ওখানে রেখেছে কিন্তু কেউ জানত না তিনি কোথায়।’ বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজে কমিউনিস্টপূর্ব নেত্রী লায়োলা গুজম্যানই সেই প্রথমদের একজন যারা তার অবস্থান জেনেছিলেন। একদিন তিনি একটি বার্তা পান। সেই বার্তায় তাকে প্যারাগুয়ের সীমান্তের কাছে ছোট্ট শহর ক্যামিরিতে যেতে বলা হয়েছিল। সেই বৈঠকটা কি জন্য তার কোন ধারণাও তার ছিল না। মিজ গুজম্যানের বয়স এখন ৭৫ বছর। কিন্তু ১৯৭৫ সালের জানুয়ারির এক ছবিতে গেরিলা যোদ্ধার পোশাকে মাথায় ফিল্ড ক্যাপ পরা এই গুজম্যানকে তারুণ্যদীপ্ত চেহারায় দেখা যাবে। ঘাম ঝরানো গরমে জঙ্গলের ক্যাম্পে তিনি একটা গাছের গুঁড়ির উপর বসে আছেন। পাশে চে গুয়েভারা। মিজ গুজম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী : ‘তিনি দুটো কি তিনটি ভিয়েতনাম সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।’ বলিভিয়া হবে বিপ্লবের ঘাঁটি। তবে শুধু বলিভিয়ার জন্য নয়, পার্শ্ববর্তী আর্জেন্টিনা ও পেরুর জন্যও। গুজম্যান তার ধারণার সঙ্গে একমত হলে তাকে বিপ্লবীদের জন্য সমর্থন সংগ্রহ ও টাকা পয়সা যোগাড় করতে রাজধানীতে ফেরত পাঠানো হয়। ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় লড়াই। সাংবাদিক সালাজার পরে জানতে পারেন সেই মাসে বলিভীয় সেনাবাহিনী ও একটি সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে লড়াইয়ে ৭ জন সৈন্য নিহত হয়। ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য সালাজারকে সেখানে পাঠানো হয়। তবে এই জঙ্গীরা কারা তার কাছে তা অস্পষ্টই থেকে গিয়েছিল। শুধু এটুকুই জানা যায় এরা নিয়মিত সরকারী বাহিনীর ওপর মারাত্মক সব আঘাত হানছে। এর অল্পদিন পরই শোনা যেতে থাকে যে এদের দলনেতা হয়ত চে গুয়েভারা। সেনাবাহিনী তাকে খুঁজে বের করার জন্য হন্যে হয়ে ওঠে। সাংবাদিকরা তার সাক্ষাতকার নিতে ব্যগ্র হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে সালাজারও ছিলেন। একটি ভুলই চের জন্য কাল হলো গুয়েভারা তখন সারা বিশ্বে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হলেও বলিভিয়ার কৃষকদের কাছে মোটেও তেমন প্রিয় পাত্র হতে পারেননি। বলিভিয়ায় গুয়েভারার লড়াইয়ে একজন কৃষকও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণটা সম্ভবত এই যে কৃষকদের মধ্যে তারা কোন বৈপ্লবিক কাজ করেননি। চে ধরা পড়ার পর রোসালেস নামের যে দোকানি তাকে এক বাটি স্যুপ দিয়েছিল তার মনে আছে এর অল্প ক’দিন আগে একজন গেরিলা লা হিগুয়েরা গ্রামে আসে। তাকে দেখে রোসালেস স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তার নাম বরার্টো পেরেডো যিনি ‘কোকো’ নামে পরিচিত ছিলেন। লোকটি হেঁটে এসে যেখানে রোসালেস কাজ করছিলেন সেই দোকানে ঢুকে এবং টেলিফোনটা ব্যবহার করতে চায়। গ্রামবাসীও লোকটার আগমন লক্ষ্য করে। কিন্তু কারোর কাছে এই আগমন প্রত্যাশিত ছিল না। তারা এটা ভালভাবে নেয়নি কারণ গেরিলাদের তেমন একটা সুনাম ছিল না। শহরের পুরুষদের সবাই পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিল এই আশঙ্কায় যে, তারা ওদের জোর করে নিয়ে গিয়ে যোদ্ধা বানাবে। শহরের মেয়র গেরিলাদের আগমনের খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়র ও অন্যান্য সূত্র থেকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী চে ও তার গেরিলা দলকে ঘেরাও করতে শুরু করে। যারা এই অভিযানে ছিলেন তাদের একজন গ্যারি প্রাদো তখন এক তরুণ সেনা অফিসার। ইনি গুয়েভারার সন্ধানে গোটা পাহাড়ী অঞ্চলটা চষে বেড়িয়েছিলেন। সেই গ্যারি প্রাদো এখন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। বয়স ৭৮ বছর। তার মতে, সেনাবাহিনী তখন গেরিলা যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু অচিরেই আমেরিকার ট্রেনিং আসে। সিআইএ এজেন্টরা আসে। চেকে হত্যার ব্যাপারে তারা খুবই ব্যগ্র ছিল। হবে নাই বা কোনÑ এই মানুষটির হাতে তাদের তো কম নাস্তানাবুদ হতে হয়নি। কিউবার বিপ্লবী যুদ্ধে চে তার সামরিক কৌশলের জন্য প্রভূত প্রশংসিত হয়েছিলেন। ‘গেরিলা ওয়ার ফেয়ার’ নামে তিনি একটি বই লিখেছিলেন যা আজও সারা বিশ্বের বিপ্লবী যোদ্ধাদের কাছে গাইড বই হিসেবে ব্যবহৃত। তার পরও প্রাদোর মতে, বলিভিয়ায় চে কতগুলো ভুল করে বসেছিলেন। সেগুলো হচ্ছে প্রথমত, এমন সব ঘাঁটি স্থাপন করা যেগুলো রক্ষা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, নিজের বাহিনীকে বিভক্ত করে ফেলা এবং তৃতীয়, ছবি ফেলে রেখে যাওয়া যেগুলো পরে সৈন্যরা একত্রে সংগ্রহ করে সূত্র হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল। প্রাদোর ভাষায়, ‘তিনি ছিলেন গেরিলা যুদ্ধের অসাধারণ কুশলী নায়ক। অথচ এখানে তিনি সবকিছুই ঠিক উল্টোটি করেছিলেন।’ ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর নিজের ডায়রিতে তার শেষ এন্ট্রিতে চে লিখেছিলেন, তিনি ছাগপালক এক বৃদ্ধাকে গুঁতো মেরে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। অন্যরা তার কাছে জানতে চায়, সৈন্যরা কাছাকাছি কোথাও আছে কিনা। ডায়রিতে লেখা আছে : ‘ওরা তাকে ৫০ পেসো দিয়ে বলে, একটা কথাও সে যেন কাউকে না বলে। কিন্তু বৃদ্ধা যে তার কথা রাখবে সে ব্যাপারে আমাদের তেমন কোন আশা ছিল না।’ ৮ অক্টোবর বলিভিয়ার সৈন্য ও গেরিলা যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায়। প্রাদোর স্মরণে আছে সেই লড়াই অন্যগুলোর চেয়ে ভিন্নভাবে শেষ হয়েছিল। একজন গেরিলা আত্মসমর্পণ করে চিৎকার দিয়ে বলে ‘আমি চে’ গুয়েভারা। আমাকে মেরে ফেলার চেয়ে বাঁচিয়ে রাখার মূল্য তোমাদের কাছে অনেক বেশি।’ ৬৯ বছরের বৃদ্ধা জুলিয়া কর্টেস তখন একজন তরুণী। লা হিগুয়েরায় এক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেদিন স্কুলে যাওয়ার সময় দূরে কোথাও গোলাগুলির আওয়াজ তার কানে আসে। এই স্কুলেই সৈন্যরা ধরা পড়ার পর চেকে নিয়ে এসেছিল। মিজ কর্টেস পরদিন ৯ অক্টোবর যখন স্কুলগৃহে প্রবেশ করেন তখন এই গেরিলা নেতার কথা বলার মতো শক্তি ছিল না। তার মুখ দিয়ে বিপ্লব সম্পর্কিত দু’-একটি কথা বিড়বিড় করে উচ্চারিত হচ্ছিল। কর্টেসের ভাষায়, ‘অন্যরা যদিও বলছিল, তার চেহারা তখন বিচ্ছিরি দেখাছিল তথাপি আমার মনে হয়েছিল তিনি ছিলেন অসম্ভব সুন্দর।’ কর্টেস জানান, স্কুল থেকে তিনি বাসায় ফিরেছেন মাত্র এমন সময় গুলির আওয়াজ শোনা গেল যে গুলিতে তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ওইদিন রিপোর্টার সালাজার আরেক গেরিলার বিচারের খবর সংগ্রহের জন্য লা পাজে ছিলেন। লা হিগুয়েরায় চে’কে মেরে ফেলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে ছুটে যান খবরটি কভার করার জন্য। তার মনে আপসোস থেকে যায় সেই সাক্ষাতকার নিতে না পারার জন্য যেটি হতে পারত শতাব্দীর সেরা সাক্ষাতকার। পরদিন বলিভিয়ার পত্রিকা প্রেজেনসিয়ার সামনের পাতায় নিহত গুয়েভারার ছবি ছাপা হয়। সাদা কালো সেই ছবিতে দেখা যায় লাশ পড়ে আছে চের। চোখ জোড়া আকাশের দিকে মেলা। চে ধরা পড়ার আগেই ধরা পড়েছিলেন তার সঙ্গিনী গেরিলা মিজ গুজম্যান। চের মৃত্যুর খবর তিনি শোনেনইনি। একদিন জেলখানার বাথরুমে প্রেজেনসিয়ার একটা কপি পেয়ে জানতে পারেন। ওদিকে লা হিগুয়েরায় মিজ রোসালেসের স্মরণে আছে মিজ কর্টেসকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন ক্লাসরুমের রক্ত পরিষ্কার করার জন্য তিনি স্কুলগৃহের দিকে এগিয় আসছেন। ঐদিন থেকে সেখানে আর কোন ক্লাস হয়নি। বাচ্চারা আর সেখানে যায়নি। স্কুলগৃহটি এখন ছোটখাটো একটা জাদুঘর। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস
×