ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেত্রা কেভিতোভার বিদায়, হংকং ওপেনে নাওমি ওসাকার কাছে হার ভেনাসের

কোয়ার্টার ফাইনালে শারাপোভা

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

কোয়ার্টার ফাইনালে শারাপোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তিয়ানজিন ওপেনে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন মারিয়া শারাপোভা। দারুণ জয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কাটলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা ৭-৫ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন মাগদা লিনেত্তিকে। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ৭১ নাম্বারের খেলোয়াড় লিনেত্তি। শুরুটা দারুণভাবেই করেছিলেন তিয়ানজিন ওপেনে। কিন্তু শারাপোভার বিপক্ষে ম্যাচেই থেমে গেল তার জয়রথ। পোলিশ তারকাকে হারাতে ৩০ বছর বয়সী মাশার সময় লাগে ৯৮ মিনিট। বর্তমানে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮৬ নাম্বারে অবস্থান করছেন শারাপোভা। তিয়ানজিন ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কেটে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত। তবে প্রথম সেটের চেয়ে দ্বিতীয়টি খুব সহজেই জেতেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শারাপোভা বলেন, ‘প্রথম সেটের চেয়ে দ্বিতীয়টি ভালো খেলেছি। তবে ফিরতি শটে অনেক বেশি ইরর খেলেছি। তার বিপক্ষে ম্যাচে আমি আক্রমণাত্মক ছিলাম।’ ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলেই কোর্টে ফেরেন শারাপোভা। এরপর নিয়মিতই কোর্টে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত মাসে খেলেছেন মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনেও। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি পাঁচটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোন শিরোপাই নিজের শোকেসে তুলতে পারেননি শারাপোভা। তিয়ানজিন ওপেনের শেষ আটে রাশিয়ান তারকার প্রতিপক্ষ স্টেফানি ভোগলে। সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে হারান টুর্নামেন্টের পঞ্চম বাছাই জুলিয়া পুতিনসেভাকে। তিয়ানজিন ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়েছেন পেত্রা কেভিতোভা। দুইবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নকে বিদায় করে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন যু লিন। এদিন তিনি ৬-৪, ৫-৭ এবং ৬-৪ গেমে পরাজিত করেন চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভাকে। দ্বিতীয় বাছাইকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বিশে থাকা কোন খেলোয়াড়কে হারানোর গৌরব অর্জন করলেন যু। তবে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। বুধবার দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিট লড়াই করার পর কেভিতোভাকে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিতে সক্ষম হন তিনি। কেভিতোভার মতো খেলোয়াড়কে পরাজিত করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যু নিজেও। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে যু বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার ক্যারিয়ারের বিস্ময়কর একটা ম্যাচ। সবচেয়ে সেরা ফলাফলও বলা চলে। এতে আমি সত্যিই খুব খুশি। তবে আজ আমি খুব স্বস্তি নিয়েই খেলেছি। ম্যাচটা জিতব নাকি হেরে যাব তা নিয়ে মোটেও ভাবিনি। পুরো ম্যাচটাই উপভোগ করেছি।’ এদিকে হংকং ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েছেন ভেনাস উইলিয়ামস। বুধবার জাপানের নাওমি ওসাকার কাছে ৭-৫ এবং ৬-২ গেমে হার মানেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন ভেনাস। অথচ তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইনালে ওঠার সময় জন্মই হয়নি নাওমি ওসাকার। এবার তার কাছেই হারলেন ভেনাস। ম্যাচ শেষে ওসাকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আমেরিকান কিংবদন্তি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে খুবই ভাল খেলেছে। আমি কিছু ইরর করেছি। এই ম্যাচ শেষে এখন শুধু তারই প্রশংসা করতে পারি আমি।’ গত বছর ইউএস ওপেনের শুরুতেই শিরোনামে উঠে এসেছিলেন নাওমি ওসাকা। কেননা, সেবার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচেই এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে হারিয়ে দেন তিনি। পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা যে ওসাকা ধরে রেখেছেন, হংকং ওপেনও তার বড় প্রমাণ। ম্যাচ শেষে জাপানের তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ভেনাস এমন একজন খেলোয়াড় যাকে আমি সবসময়ই শ্রদ্ধা করি এবং প্রশংসা করি। শৈশব থেকেই তার খেলা দেখে বড় হয়েছি। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে তাকে কখনোই ভয় করিনি আমি। বরং অন্য একজন প্রতিপক্ষের মতোই দেখেছি। তার বিপক্ষে ম্যাচে আমার পূর্ণ মনোযোগ ছিল।’
×