ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা আত্মসাতকারী চক্রের ৫ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১ অক্টোবর ২০১৭

চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা আত্মসাতকারী চক্রের ৫ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে ভুয়া অফিস বানিয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতকারী প্রতারক চক্রের প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআইর ঢাকা মহানগর অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো হারুন অর রশিদ (ছদ্মনাম রামনাথ ঠাকুর-৫৬), সনজ সাহা ওরফে উজ্জল চৌধুরী (ছদ্মনাম জি মোস্তফা কামাল-৪৭), শামছুল আলম মজুমদার ওরফে কোপা শামছু (ছদ্মনাম মিজানুর রহমান-৪৮), আমিনুল ইসলাম আমিন (৩৭) ও মোকসেদুর রহমান আকন (ছদ্মনাম আল-আমিন-৩৮)। পল্লবীর ১১ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসার দোতলায় বিলাসবহুল অফিস বানিয়ে প্রতারণা করে আসছিল তারা। পিবিআই জানায়, মধ্যবাড্ডার বৈশাখী সরণি রোডের প-৭২/২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ খান (৬২) একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিজীবী। গত ২৫ মে গুলশান লেকের রাস্তায় সকালে হাঁটার সময় অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলাপের একপর্যায়ে ফিরোজখানকে আলী নেওয়াজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করেন হামিদ ও তার সহযোগীরা। ওই গ্রুপের আল-আমিন নামের এক কর্মকর্তার কথামতো পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প সাইজের তিন কপি করে ছবি এবং বায়োডাটা নিয়ে ২৭ মে তাদের অফিসে যান ফিরোজ। অফিসে গেলে আল-আমিন তাকে কোম্পানির এমডি জি মো¯তফা কামালের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তারা মিলে একটি বিদেশী কোম্পানিতে ব্যবসায়িক অংশীদারির কথা বলে সাড়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্র। কয়েকদিন পর ৫ জুন ওই অফিসের ঠিকানায় গিয়ে দেখেন সেখানে কোন অফিস নেই। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফিরোজ খান প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওইদিনই খিলগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। একই সঙ্গে তিনি পিবিআইর সহযোগিতা চান। বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, আটক আসামিরা তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী ও বয়স্ক লোকদের বিদেশী সংস্থা বা প্রজেক্টে বেশি টাকা বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাজানো অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে চক্রটি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। ফিরোজ খান ছাড়াও চক্রটি দক্ষিণখান থানার আজমপুর এলাকার বাসিন্দা ভিকটিম গোলাম মোস্তফার (৬০) কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকাসহ একাধিক লোকের কাছ থেকে একই কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
×