ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস করছেন নিয়মিত ॥ পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস করছেন নিয়মিত ॥ পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না

সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ প্রতারণার মামলায় দুই বছরের কারাদন্ড- আর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত আফিস করছেন মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ। থানায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার নোটিস এলেও পুলিশ বলছে তিনি পলাতক। সদর উপজেলার ঠিকাদার হাফিজুর রহমান ডলার ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেহেরপুর পৌরসভার প্রকৌশলৗ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মেহেরপুর চীফ জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুজ্জামান প্রকৌশলৗ হারুন অর রশিদকে দুই বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশের আদেশ দেয়। আদালত অমান্য করায় পরে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত আফিস করছেন তিনি। পৌর কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় গিয়ে দেখা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলৗ হারুন অর রশিদের নিজের কক্ষে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকৌশলৗ হারুন অর রশিদ কাজ পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামায় তার স্বাক্ষর রয়েছে। শর্ত ছিল কাজ না পাইয়ে দিলে ২০১৫ সালের ১১ মার্চের মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং বাকি ৪ লাখ টাকা একই বছরের ১১ মে মধ্যে পরিশোধ করবেন। পরে কাজ পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হলে প্রকৌশলৗ হারুন অর রশিদ ১১ মার্চ নিজ নামীয় পূবালী ব্যাংকের এ্যাকাউন্টের একটি চেক দেন।
×