ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মোবাইল সিম কিনতে পারবে না ॥ তারানা

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মোবাইল সিম কিনতে পারবে না ॥ তারানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শরণার্থী রোহিঙ্গারা মোবাইল সিম কিনতে পারবে না। কেউ যদি তাদের হাতে সিম তুলে দেয় তাহলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হবে। তবে মানবিক কারণে যোগাযোগের জন্য শরণার্থী শিবিরে টেলিটকের বুথ করে দেয়া হবে। শনিবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ‘মিয়ানমান থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল সিম বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিং সংক্রান্ত এক সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেন। সভা সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে দমনপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে। তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, সরেজমিনে দেখা গেছে-রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম ব্যবহার করছেন। আমরা জানি বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া এই সিম এ্যাকটিভ থাকার কথা নয়। কিন্তু কেন কিভাবে তারা সিম ব্যবহার করছেন সেটা খুঁজে বের করার জন্য বিটিআরসিকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিটিআরসি জেনেছে কিছু ব্যক্তি অর্থের লোভে তাদের নিজের নামে থাকা নিবন্ধিত সিম বিক্রি করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে। এটা কেউ করতে পারেন না। এ কাজ বড় ধরনের অপরাধ। রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা সিম শনাক্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে কোন কোন সিম এ্যাকটিভ হয়েছে, তার একটি ডেটা নেয়া হবে। কোন কোন রিটেইলাররা সেখানে আছেন, তাদের তালিকা নেয়া হয়েছে। আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে অগ্রসর হচ্ছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশী মোবাইল সিম ব্যবহার করতে দেখা গেলেও আইন অনুযায়ী বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া এই সংযোগ তাদের পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মংডুর গর্জনদিয়া গ্রামে বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার পর নাফ নদী পেরিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছেন। বাংলাদেশে আগে থেকে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল সিম উদ্ধারে ইতোমধ্যে কোর্ট অভিযান চালাচ্ছে। যারা সিমগুলো বিক্রি করেছেন, এটি যে তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তা নিয়ে প্রচার চালানো হবে। সেই সিম দিয়ে অপরাধ হলে দায় নিতে হবে তাকেই। তাই অন্য কেউ সিম নিবন্ধন করে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করতে পারবে না। যদি তা করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হচ্ছে। তা শেষ হলে তাদের কাছে সিম বিক্রি করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা হবে। তারানা বলেন, ক্যাম্পগুলোতে একটি করে বুথ স্থাপন করা হবে। টেলিটকের সিমের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন তারা। খুবই স্বল্প খরচে কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এ সেবা শুরু করা হবে এবং সেখানে টু জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে টেলিটককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১৫টির মতো ক্যাম্পে বুথ স্থাপন করার পাশাপাশি যখনই নতুন ক্যাম্প হবে সেখানেও বুথ বসানো হবে।
×