ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৪৪ রোহিঙ্গা শিশুকে ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

৪৪ রোহিঙ্গা শিশুকে ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারত সরকার যখন সেদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তখনই পশ্চিমবঙ্গ বলছে রাজ্যের হেফাজতে থাকা ৪৪টি রোহিঙ্গা শিশুকে তারা কখনই ফেরত পাঠাবে না। খবর বিবিসির। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ভারতের সুপ্রীমকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছে এ নিয়ে। কিন্তু কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চ্যাটার্জী বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলছে রোহিঙ্গারা নাকি জাতীয় সুরক্ষা বিঘিœত করতে পারেন, তাই তাদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যে রোহিঙ্গা শিশুরা রয়েছে তাদের আমরা মৃত্যু উপত্যকায় ফেরত পাঠাতে পারি না। কারণ সারাবিশ্ব জানে সেখানে কী চলছে। বেআইনীভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে আটক হওয়া ২৪ রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। এছাড়া আরও ২০ শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন কারাগারে। ওই মায়েরাও বেআইনীভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে সাজা খাটছেন। অনন্যা চ্যাটার্জী আরও বলেন, শিশুরা তো আর জঙ্গী নয়। তারা তো আর জাতীয় নিরাপত্তার কোন বিঘœ ঘটাতে পারে না। তাদের মুক্তি দিতে চাইছি আমরা। সুপ্রীমকোর্টের কাছে আবেদনে আমরা সেটাই উল্লেখ করেছি। এই রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের প্রত্যেকের জন্যই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে গেছে। সেটা বিলি করারও কথা ছিল কয়েক সপ্তাহ আগে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার যে নির্দেশ দিয়েছে, সে কারণেই শরণার্থী পরিচয়পত্র বিলি করার কাজ থমকে গেছে। প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সে রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে তার একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গ অবশ্য সেই কাজ শুরু করেনি এখনও। রাজ্যের হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের শরণার্থী পরিচয়পত্র দেয়া গেলে তাদের মুক্তি দেয়া যাবে। তারপরে তারা দিল্লী বা জম্মুর রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতেও যেতে পারে অথবা রাজ্য সরকারী শিশু-কিশোর আবাসগুলোতেও থাকতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে। ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেন মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানো হয়, তার জন্য মূল মামলাটি সুপ্রীমকোর্টে চলছে।
×