ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আতাতুর্ক কামাল পাশা

দেশজ কবি শহীদ কাদরী

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দেশজ কবি শহীদ কাদরী

গত শতকের শেষের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কবিতা পড়া ও লেখার দিকে বেশ ঝোঁক তখন থেকেই। ক্যাম্পাস থেকে ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে, মাসিক সাময়িকীগুলোতে একটু আধটু লিখতাম। প্রায়ই কবিতার বই কিনতাম। বন্ধু ও স্যারদের কাছে কোন কবিতার নতুন বইয়ের নাম শুনলেই অস্থির হয়ে উঠতাম সেটি কিনতে। ক্যাম্পাসে তখন হাসান আজিজুল হক, আবুবকর সিদ্দিক, কবি আতাউর রহমান, শেখ আতাউর রহমান, জীবনানন্দ বিশেষজ্ঞ আসাদুজ্জামন, ড. ইবনে গোলাম সামাদ, জুলফিকার মতিন, সনাৎ কুমার সাহাসহ অনেক বিদগ্ধ প-িত ও লেখক ছিলেন। ছাত্রদের মধ্যে আজকের অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি, সাহিত্যিক ছিলেন। এমন সময়েই আমার হাতে এলো ‘তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা’। শহীদ কাদরীর কবিতার বই। নিমিষেই কবিতাগুলো শেষ করে ফেললাম। অপূর্ব সৃষ্টি! কবিতার গঠন ও কবির সৃজনশীলতা এতো সুন্দর হতে পারে ভেবে বিস্ময়াভিভূত হলাম। শহীদ কাদরীর কাব্য চর্চা শুরু হয় পঞ্চাশ দশকে। এগারো বয়সে তার লেখা কবিতা প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৫৩ সালে মহিউদ্দিন আহমদ সম্পাদিত স্পন্দন পত্রিকাতে। কবিতার শিরোনাম ছিল ‘পরিক্রমা’। এ সময়ের লেখালেখির জগতটার সংবাদাদি জানা থাকলে শহীদ কাদরীর কবিতার পাঠোদ্ধার ও সে সময়ের কবিতার অঙ্গনটা অনেকটাই পরিচিত হয়ে আসে। উপমহাদেশের বিরাট মানচিত্র ভেঙে তখন সবে কয়েকটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বাংলার বিশাল একটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান নামে আলাদা হয়েছে ওপর বাংলা থেকে। বাংলা সাহিত্যে তখন দুটো ধারা তৈরি হয়েছে। একটি রবীন্দ্র ধারা। অপরটি ত্রিশ দশকের কিছু বিখ্যাত কবির ভিন্নমুখী ধারা। রাবীন্দ্রিক বলয় থেকে বেরিয়ে আসা আর এক মুক্তকণ্ঠের কবিতার ধারা নিয়ে বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, অমীয় চক্রবর্তী, জীবনানন্দ দাস, অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র আধুনিক বাংলা কাব্য জগতের চলমান পথের উল্টোপথে দাঁড় বাওয়া শুরু করলেন। তাদের সঙ্গে লয় বাঁধা শুরু করেন এ বাংলার সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল মান্নান সৈয়দ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ আলী আহসান ও আরও কিছু কবি। খুব অল্প সময়েই তাদের দলে যুক্ত হলেন শহীদ কাদরী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব তখন চলছে ভিন্ন মাত্রায়। একদিকে ইউরোপ আমেরিকার শিল্পবিপ্লব, চীনের লাললণ্ঠনের সাংস্কৃতিক আবহ, আর অন্যদিকে যুদ্ধবিরোধী জাতিসংঘের পথ চলা। অন্যদিকে সাহিত্য-সংস্কৃতি-কারু ও চারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষকদের মানুষের নিত্যদিনের ইতিহাস চর্চায় মনোযোগী হতে দেখা গেল। শহীদ কাদরীকেও তেমনি নগর জীবন, নগরের প্রতিদিনের নাগরিকদের চলা ফেরার ছবি কবিতায় ধরে রাখবার কাজে নিয়োজিত হতে দেখা গেল। এরই মধ্যে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বুদ্ধদেব বসুর মাসিক কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬ সালে তার একটি কবিতা ছাপা হলে একটা নেশা যেন পেয়ে বসে শহীদ কাদরীর কবিতা লেখায়। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’ প্রকাশ করেন। তখনই সে সময়ের কবিরা তাকে ‘ক্ষণজন্মা’, ‘বিরলপ্রজ’ ‘বিশ্বজনীন’ অভিধায় চিহ্নিত করেন। এক সময়ের বিশিষ্ট প্রকাশক মফিদুল হক কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থের আলোচনায় লেখেন, ‘বাংলা কবিতার অতিসাম্প্রতিক সৃষ্টি প্রাচুর্যের ভিড়ে তাঁকে কেউ খুঁজে পাবেন না। অথচ সাতচল্লিশ-উত্তর কবিতাধারায় আধুনিক মনন ও জীবনবোধ সঞ্চারিত করে কবিতার রূপ বদলে দিতে যাঁরা ছিলেন কারিগর, শহীদ কাদরী তাঁদের অন্যতম প্রধান। তাঁর কবিতা আমাদের নিয়ে যায় সম্পূর্ণ এক আলাদা জগতে, ঝলমলে বিশ্ব-নাগরিকতাবোধ ও গভীর স্বাদেশিকতার মিশেলে শব্দ, উপমা, উৎপ্রেক্ষার অভিনবত্বে তিনি যেন বিদ্যুতচমকের মতো এক ঝলকে সত্য উদ্ভাসন করে পরমুহূর্তে মিলিয়ে গেলেন দূর দিগন্তের নিভৃত নির্জনতার কোলে।” কবিতার শুরুতেই কবি লিখেছেন, ‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো’। তিনি শুধু দেখছেন তার ভাবনার নিরিখে এবং হঠাৎ সুগোল তিমির মতো আকাশের পেটে বিদ্ধ হলো বিদ্যুতের উড়ন্ন বল্লম! বজ্র-শিলাসহ বৃষ্টি, বৃষ্টি : শ্রুতিকে বধির ক’রে গর্জে ওঠে যেন অবিরল করাত-কলের চাকা, লক্ষ লেদ-মেশিনের আর্ত অফুরন্ত আবর্তন! নামলো সন্ধ্যার সঙ্গে অপ্রসন্ন বিপন্ন বিদ্যুত মেঘ, জল হাওয়া, হাওয়া, ময়ূরের মতো তার বর্ণালী চিৎকার, কী বিপদগ্রস্ত ঘর-দোর, ডানা মেলে দিতে চায় জানালা-কপাট নড়ে ওঠে টিরোনসিরসের মতন যেন প্রাচীন এ-বাড়ি! (‘বৃষ্টি, বৃষ্টি’/ উত্তরাধিকার)। কবিতাকে নতুনভাবে প্রকাশ করবার যে নতুন এক আকুতি কবি দেখালেন তা তার নিজস্ব মেধারই প্রতিফলন ঘটিয়ে। বৃষ্টির, আকাশের, মেঘের আর বিদ্যুতের বল্লমের চিত্রকল্প কেউ আর এভাবে লিখলেন নাÑ না কালিদাস, না প্রেমেন্দ্র মিত্র, না সৈয়দ আলী আহসান। আমাদের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল সৈয়দ আলী আহসান তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, ‘উত্তরাধিকার কাব্যগ্রন্থ দাঁড়াই শহীদ কাদরীর যথার্থ কবিস্বীকৃতি।’ শহীদ কাদরীর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা’। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় এ কাব্য সংহিতা। এ সময় চলছে রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবর্তন আর অস্থিরতা। নতুন সাংস্কৃতিক ও জাতিসত্তার পরিচয় নিয়ে ভিন্ন এক ভূখন্ডের যাত্রা। তার কবিতাকে তিনি রাষ্ট্রের বা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নান্দনিক পেলব প্রাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এ গ্রন্থে। তিনি লিখলেন, ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে মার্চপাস্ট করে চলে যাবে এবং স্যালুট করবে কেবল তোমাকে প্রিয়তমা। . . . . ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো- বি-৫২ আর মিগ-২১গুলো মাথার ওপর গোঁ-গোঁ করবে ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করব চকোলেট, টফি আর লজেন্সগুলো প্যারাট্রুপারদের মতো ঝরে পড়বে কেবল তোমার উঠোনে প্রিয়তমা। ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করব একজন কবি কমান্ড করবেন বঙ্গোপসাগরের সবগুলো রণতরী এবং আসন্ন নির্বাচনে সমরমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সবগুলো গণভোট পাবেন একজন প্রেমিক, প্রিয়তমা! সংঘর্ষের সব সম্ভাবনা, ঠিক জেনো, শেষ হবে যাবে- আমি এমন ব্যবস্থা করবো, একজন গায়ক অনায়াসে বিরোধী দলের অধিনায়ক হয়ে যাবেন সীমান্তের ট্রেঞ্চগুলোয় পাহারা দেবে সারাটা বৎসর লাল নীল সোনালি মাছি- ভালোবাসার চোরাচালান ছাড়া সবকিছু নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, প্রিয়তমা। ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো মুদ্রস্ফীতি কমে গিয়ে বেড়ে যাবে শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার সংখ্যা প্রতিদিন আমি এমন ব্যবস্থা করবো গণরোষের বদলে গণচুম্বনের ভয়ে হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি, প্রিয়তমা। ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো শীতের পার্কের ওপর বসন্তের সংগোপন আক্রমণের মতো এ্যাকর্ডিয়ান বাজাতে-বাজাতে বিপ্লবীরা দাঁড়াবে শহরে, ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করব স্টেটব্যাংকে গিয়ে গোলাপ কিম্বা চন্দ্রমল্লিকা ভাঙালে অন্তত চার লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে একটি বেলফুল দিলে চারটি কার্ডিগান। ভয় নেই, ভয় নেই ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করব নৌ, বিমান আর পদাতিক বাহিনী কেবল তোমাকেই চতুর্দিক থেকে ঘিরে-ঘিরে নিশিদিন অভিবাদন করবে, প্রিয়তমা। কালজয়ী এ কবিতায় একাধিক কবির পূর্বাল্লেখ পাওয়া যায়। পাবলো নেরুদা তার ১৯৭১ সালের নোবেল বক্তৃতায় দেয়া বর্ণনায় শতবর্ষের কালো আমেরিকার যে ঐতিহ্য তুলে ধরেছিলেন, যে অশ্বারোহী দলের সঙ্গে চিলির এবড়ো খেবড়ো পার্বত্য এলাকা পেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তার একটি প্রচ্ছন্ন জীবনবোধ পাওয়া যায়। এমনকি শতবর্ষ পূর্বের কবি র্যাঁবোর ‘নতুন এক ঝলমলে আলোকোজ্জ্বল নগরে আমরা অচিরেই প্রবেশ করব’ কথাগুলোরও আশা উচ্চারিত হতে দেখা যায়। অথচ শহীদ কাদরী সম্পূর্ণ আধুনিক, নতুন অভিযাত্রার কালজয়ী করে কবিতাকে রাষ্ট্রের এমন এক শক্তিশালী স্থানে বসালেন, যেখানে আগে কোন কবি এমন স্থানে কবিতাকে বসাননি। ‘কোথাও কোন ক্রন্দন নেই’ তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে কবি তিনি ইচ্ছা করে নাগরিক কবি হতে চাননি। নিঃসঙ্গ কবি শহরের কোলাহলের ভিড় ঠেলে চলতে-চলতে যেন দেউলিয়া হয়ে গেছেন। তিনি কখনো আবার গ্রামে গিয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছেন। কারণ তাঁর প্রেম আর প্রাণের স্পন্দন সব কিছু শোষণ করছে সমরবিদ, বিজ্ঞানী, সার্জেন্ট-মেজর অর্থাৎ নগর-সভ্যতার অলীক সৌন্দর্য। কবির সহজ আর অভিমানমিশ্রিত উক্তি, চায়ের ধূসর কাপের মতো রেস্তোরাঁয়-রেস্তোরাঁয় অনেক ঘুরলাম। এই লোহা, তামা, পিতল ও পাথরের মধ্যে আর কতদিন? এখন তোমার সঙ্গে ক্ষেত-খামার দেখে বেড়াবো। (‘এবার আমি’/ কোথাও কোন ক্রন্দন নেই)। কোথাও কোন ক্রন্দন নেই কাব্যগ্রন্থে কবি সমস্ত শহর চষে বেড়িয়েছেন, ঘুরছেন কোলাহল টপকে। এই গ্রন্থের আর একটি বিশেষ দিক হলো মৃত্যুর শিল্পরূপ নির্মাণ। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, এ শিল্পরূপ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পরূপ নয়। মৃত্যুকে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘শিবের হাসির মতো শাশ্বত আর সুন্দর (চার অধ্যায়)। সে ক্ষেত্রে শহীদ কাদরীর মৃত্যু-শিল্প বড় খোলামেলা, রাগালো আর তীক্ষè, যেমন, একটি মাছের অবসান ঘটে চিকন বটিতে, রাত্রির উঠোনে তার আঁশ জ্যোৎ মতো হেলায়-ফেলায় পড়ে থাকে কোথাও কোনো ক্রন্দন তৈরি হয় না, (‘কোন ক্রন্দন তৈরি হয় না’)। এভাবে কবি হয়ে ওঠেন এক বিশ্বাসী পুরুষ। তার কাব্যে অনেক বিচিত্র শব্দ এসেছে, অনেক সাধারণ শব্দ এসেছে যা নগরে হামেশাই লক্ষ্য করা যায়। তেলাপোকা, বাদুড়, আরশোলা, বুড়ো-আংলা, চিকন বটিতে, মাছের আঁশ, ঘরের ঘুলঘুলি, করাতকল, বল্লম, তীর, তাক করা রাইফেল, মহাজ্ঞানী, মোসাহেব, সিপাই, সান্ত্রি, রাজস্ব আদায়কারী, লেদ-মেশিন, ফীল্ডগান, শূন্য হাঁড়ি, সাদাভাত, আটচালা, পোকা-মাকড়, উদ্বাস্তু, লক্ষ্মীছাড়া, ইত্যাদি শব্দগুলোকে তিনি এমনভাবে সাজাতে পেরেছেন যে এগুলো আমাদের নাগরিক জীবনের অনুষজ্ঞ হয়ে পড়েছে। আবার একইসঙ্গে, এসব শব্দের বিশেষ্য, বিশেষণ তৈরি করতে ভীষণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে কাব্যের কাব্যময়তা সামান্যতম ভেঙে পড়েনি। এটিই তার কাব্যের নিপুণ প্রবহমানতা। শহীদ কাদরীর চারটি কবিতাগ্রন্থ মিলিয়ে খুব বেশি হলে ১২৬টি খুব বেশি কবিতা তিনি লেখেননি। কিন্তু এ কবিতাগুলোই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছে। জগদ্বিখ্যাত ফরাসি কবি বোদলেয়ারের বইয়ের সংখ্যা একটাই। তার কাব্য ‘লে ফ্লর দ্যু মাল’। এতে কবিতার সংখ্যা মাত্র ১৮০টি। অথচ আজও বিশ্বের বিখ্যাত কবিদের নামের প্রথম সারিতে তার নাম উঠে আসে। কবি জ্যঁ আর্তুর র্যাঁবোঁ। তার বই মাত্র দুটি। অথচ পাবলো নেরুদা যখন নোবেল পুরস্কার নেবার আগে বক্তৃতা করছিলেন, সেখানে তিনি এই বিরল ধারার কবির নাম উচ্চারণ করেছিলেন। শহীদ কাদরীকেও আমরা সেই বিরলপ্রজ কবির সারিতে দেখতে পাই। এই অসামান্য কবি শহীদ কাদরী এই আগস্টের ১৩ তারিখে ১৯৪২ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আর এই মাসের ২৮ তারিখে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দেহত্যাগ করেন। তবে তার কবিতাগুলো নিয়ে যে একটি অনস্বীকার্য সত্য থেকে যায়, তা হলো, তার কবিতাগুলো (বিশেষ করে কবিদের কাছে ও নতুন লিখিয়েদের কাছে) বার বার পড়ার পরও পুরোন হয়ে যায় না, আবারও পড়ার আগ্রহ থেকে যায়। আমাকে বলতে হবে, যারা আজ কবিতা লিখছেন, তাদের প্রতিদিন শহীদ কাদরীর কবিতা পড়তে হবে। কারণ সেখানে অনেক শেখার বিষয় আছে।
×