ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জরাজীর্ণ ছাত্রাবাসে ক্লাস ॥ বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘণ্টা!

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জরাজীর্ণ ছাত্রাবাসে ক্লাস ॥ বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘণ্টা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২০ সেপ্টেম্বর ॥ তালতলী তালুকদারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘণ্টা। রুমের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে জরাজীর্ণ ছাত্রাবাসের চৌকিতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ টিনের খুপড়ি ঘরে ক্লাস নিচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছে বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, উপজেলার তালুকদারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। ওই বিদ্যালয় বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ শতাধিক। গত পাঁচ বছরের এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়ে ১৪১ শিক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষায়ও ফল ভাল। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ শিক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারী কোন অনুদান নেই। স্থানীয় মানুষের দান অনুদানে দুটি টিনশেডের খুপড়ি ভবন নির্মাণ করে চালাচ্ছে পাঠদান। ভবনের অবস্থা এতই নাজুক যে, ঝড় এলে ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বৃষ্টি এলে বিদ্যালয় পানিতে ডুবে যায়। বিদ্যুত ব্যবস্থা না থাকায় প্রচ- গরমে বিদ্যালয়ে ক্লাস করা যায় না। তখন বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়। ক্লাসে গাদাগাদি করে একটি বেঞ্চে পাঁচ থেকে ছয়জন করে বসতে হয়। আসন সঙ্কটের কারণে ছাত্রাবাসের চৌকিতে বসে ক্লাস নিতে হয়। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সঙ্কট। নি¤œ মাধ্যমিক শাখায় পাঁচ শিক্ষকের পরিবর্তে রয়েছেন দুজন। তিনটি পদ শূন্য। মাধ্যমিক শাখায় রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষক। তাদের আবার বেতনভাতা নেই। প্রধান শিক্ষক পাঁচজন টিউটর শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কারিমা, নুরুন্নাহার, ইমরান ও কাইয়ূম জানান ক্লাসের একটি বেঞ্চে পাঁচ থেকে ছয়জন গাদাগাদি করে বসতে হয়। তারা আরও জানান, বৃষ্টি এলে চালা দিয়ে পানি পড়ে ভিজে যেতে হয়। পরে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয়। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিল, খাদিজা আক্তার ও মোঃ রাসেল মিয়া জানান বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা এতই খারাপ যে, একটু বৃষ্টি এলে ভিজে যেতে হয় এবং প্রচ- তাপদহে ক্লাস করা যায় না।
×