ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় বাড়তি দামে ইউরিয়া বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কলাপাড়ায় বাড়তি দামে ইউরিয়া বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ কলাপাড়ায় ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯২০ টাকায়। বিসিআইসির ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতারা ৫০ কেজির এক বস্তা সার এ দামে বিক্রি করছে। এমনকি এক থেকে ১০-১৫ কেজি সার কিনলে কেজি প্রতি রাখা হয় ২০ টাকা। সরকারী নিয়ম রয়েছে ৫০ কেজির এক বস্তা সার ৮০০ টাকায় বিক্রির। কিন্তু ডিলাররা তাদের খেয়াল-খুশি মতো দামে বিক্রি করছে। ক্যাশমেমো ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ৮০০ টাকার। আর হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ৫০-৮০ টাকা বেশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ায় ১২টি ইউনিয়নে বিসিআইসির মোট সাতজন ডিলার রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে খুচরা ডিলার রয়েছে ৬২ জন। বাফার গোডাউন থেকে বিসিআইসির ডিলাররা তাদের বরাদ্দকৃত সার প্রতি বস্তা ৭০০ টাকা দরে উত্তোলন করবেন। এ সার আবার খুচরা ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলারদের কাছে ৭৮৫ টাকা বস্তা দরে বিসিআইসির ডিলাররা পৌঁছে দেয়া কথা। খুচরা বিক্রেতারা ৮০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি করবেন এমন সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ম আর মানা হচ্ছে না। পশ্চিম ধুলাসারের কৃষক মোঃ ফজলু জানান, তিনি এক বস্তা সার কিনেছেন ৯০০ টাকায়। বাবলাতলা বাজারের স্বপনের দোকান থেকে এ সার তিনি কিনেছেন। পূর্ব ধুলাসার গ্রামের কৃষক চান মিয়া জানান, তিনি বালিয়াতলীর এক দোকান থেকে ২০ টাকা দরে ১৫ কেজি সার কিনেছেন। বালিয়ালীর আইয়মপাড়া গ্রামের কৃষক ফায়েজ জানান, তিনি প্রথম দুই বস্তা সার কিনেছেন ৮৩০ টাকা দরে। পরের দুই বস্তা কিনেছেন ৮৫০ টাকা দরে। বালিয়াতলীর দুই দোকান থেকে তিনি এই সার কিনেছেন। এভাবে অধিকাংশ বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছে ইউরিয়া সার। কৃষকরা উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে কিনছে বাড়তি মূল্যে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, কৃষকরা সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দিলে অতিরিক্ত দাম নেয়া বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কৃষকরা বেশি দামে কিনলেও তদন্তের সময় যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ দেয় না এ কারণে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। নিয়ম রয়েছে ক্যাশমেমো নেয়ার তাও নেয় না।
×