প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহ তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নেপিডোর এটি দমন প্রক্রিয়াও প্রতিবেশী বাংলাদেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোপূর্বে মিয়ানমারে (রাখাইন রাজ্য) সংঘটিত (পুলিশ চেকপোস্টে হামলা সম্পর্কিত খবর) কখনও সমর্থন করে না।
আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের বিদায়ী মহাসচিব সুমিথ নাকানদালা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসসর।
শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের সরকার প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে এটাকে সমসাময়িক বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে সব দেশকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল এ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।
নাকানদালা বলেন, বিমসটেক সদস্যদেশগুলো ১৪টি আর্থ-সামাজিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে এবং তারা পরিবহন ও যোগাযোগের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি কৃষি সহযোগিতা সম্প্রসারণে এ খাতে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানে ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আয়ুর্বেদিক ও ইউনানীর মতো প্রচলিত ওষুধের উন্নয়নেও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলের উন্নয়নে বিমসটেকের ওপর গুরুত্বারোপ করে। কারণ তার সরকার এই অঞ্চল থেকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে কাজ করছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আরও এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।