ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে মাদকাসক্তের হাতে শিশু খুন

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জামালপুরে মাদকাসক্তের হাতে শিশু খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৫ সেপ্টেম্বর ॥ বকশীগঞ্জ উপজেলায় নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ব্যাপারিপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর চাচাত ভাই ১১ বছরের শিশু রানা মিয়াকে লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। বাড়ির পাশের রাস্তায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক বাবু মিয়া ও তার ভাই বজু মিয়াকে গ্রেফতার এবং লোহার শাবলটি জব্দ করেছে। জানা গেছে, পশ্চিম ব্যাপারিপাড়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে বাবুু মিয়া একজন মাদকাসক্ত। নেশা করা নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাবু মিয়ার সঙ্গে তার চাচাশ্বশুর মোজাম্মেল হকের ঝগড়া বাঁধে। এর এক পর্যায়ে বাবু মিয়া ও তার ভাই বজু মিয়া মোজাম্মেল হকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোজাম্মেল হকের ছেলে রানা মিয়া বাবাকে বাঁচাতে গেলে বাবু মিয়া তাকে লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে রানা মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মাদকাসক্ত বাবু মিয়া ও তার ভাই বজু মিয়াকে গ্রেফতার করে। ফরিদপুরে কিশোরীর লাশ ॥ প্রেমিকের বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দশখারদিয়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার দুপুরে সুমাইয়া আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কিশোরীর কথিত প্রেমিক রুহুল আমিনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার দশখারদিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান মাতুব্বরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী আজিজুল মুন্সির ছেলে রুহুল আমিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তবে মেয়ের বাবা এ সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না। সোমবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশের আমগাছের ডালে সুমাইয়ার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। সুমাইয়া আলগী ইউনিয়ন ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুমাইয়ার মৃত্যুর পর সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী রুহুল আমিনের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। মঙ্গলবার দুই দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে। রুহুল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা অজানা স্থানে পালিয়ে গেছে। সুমাইয়ার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রতিবেশী রুহুল ও তার বাবা-মা মিলে শ্বাসরোধ করে মেরে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে।’ রুহুলের নানা রব মোল্যা বলেন, ‘আমার নাতি রুহুলের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের কারণে মেয়ের বাবা মা প্রায়ই সুমাইয়াকে মারপিট করত। মেয়েটি তার বাবা-মার সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।’ চট্টগ্রামে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, নগরীর হালিশহর থানার বড়পুল এলাকার একটি বাসা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে পলাতক রয়েছে গৃহবধূর স্বামী। পুলিশ জানায়, সোনিয়া (২৩) নামের এ মহিলার স্বামীর নাম ইমাম হোসেন। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি টং দোকান পরিচালনা করতেন। সোমবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সকালে স্বামী ইমাম হোসেন ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তারপরই বাসায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সোনিয়া।
×