অনলাইন রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়াকে ২১৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড পেল ৪৩ রানের। প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করেছিল বাংলাদেশ। সাকিব তার পঞ্চম উইকেটটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন। শেষ ব্যাটসম্যান জশ হ্যাজলউডকে ৫ রানে ইমরুলের ক্যাচ বানান তিনি।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও পিচ ছিল স্পিনারদের অনুকূলে। যার পুরো সুবিধা নিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনাররা। আগের দিন ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ড দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে হয়েছিল ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। ২৬০ রান করা বাংলাদেশ বড় লিড নেওয়ার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন অ্যাস্টন অ্যাগার ও প্যাট কামিন্স। চা বিরতি পর্যন্ত ছিল তাদের প্রতিরোধ।
৮ উইকেটে ১৯৩ রানে চা বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। এর পর শেষ সেশনের তৃতীয় ওভারে কামিন্সকে ২৫ রানে বোল্ড করেছেন সাকিব। তার ইনিংস ছিল ৯০ বলের। অ্যাগার ৪১ রানে খেলছিলেন।
সোমবার সকালে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ (৮)। অধিনায়ক চলে যাওয়ার পর ৬৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও ম্যাট রেনশ। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যান্ডসকম্ব (৩৩)। ১০২ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর আবার বাংলাদেশের অনুকূলে চলে যায় ম্যাচ। ওপেনার রেনশ কয়েকবার জীবন পেলেও সৌম্য সরকারের হাতে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ৪৫ রানে। সাকিব ফেরান তাকে।
ম্যাথু ওয়েড এলবিডাব্লিউ হন ৫ রানে, মিরাজ নেন তার উইকেট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বেশিদূর যেতে পারেননি। সাকিবের স্টাম্পিংয়ের শিকার তিনি ২৩ রানে। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের বিদায় করে দিয়ে যখন বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনেই ব্যাট করার আভাস পাচ্ছিল, তখন অ্যাগার-কামিন্স বিস্ময়কর প্রতিরোধ গড়েন। অবশেষে এ জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরায় বাংলাদেশ। অ্যাগার একপ্রান্ত আগলে রাখলেও পারেননি হ্যাজলউড।
সাকিব ২৫.৫ ওভারে ৭ মেডেনসহ ৬৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। বাঁহাতি অলরাউন্ডার তার টেস্ট ক্যারিয়ারে এনিয়ে এক ইনিংসে ১৬ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। ৩ উইকেট পান মিরাজ। একটি পান তাইজুল।