ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আলোচনা সভা বাংলা একাডেমিতে

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৮ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আলোচনা সভা বাংলা একাডেমিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা অনুষ্ঠান। রবিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ছিল নাতিদীর্ঘ। ৫৫ বছরের সেই স্বল্পায়ুর জীবনটি যেন আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ। যেখানে ছিল নানাবিধ ঘটনা, নানাবিধ বিষয়। বইটির সমাপ্তির অধ্যায়টি খুবই মর্মান্তিক। সেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু আমার মতে তা অসম্পূর্ণ-অসমাপ্ত। কেননা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে যাদের বিচার হয়েছে তারা প্রত্যক্ষ। যারা পরোক্ষভাবে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সামনে এনে বিচার করতে হবে। তা হলেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পরিপূর্ণ হবে। এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার নৈপথে যারা ছিল তাদের পরিচয় জাতির সামনে উঠে আসে। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের উচিত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে সেই বাস্তবায়ন ধারাকে ত্বরান্বিত করতে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা। শামসুজ্জামান খান বলেন, আমরা প্রায় সকলেই জানি এবং বলি যে, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি। এটা পুরো সত্য নয়, আংশিক সত্য। যথার্থ সত্য হলো বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি এবং রাজনীতির প্রকৌশলীও। পশ্চিমারা বঙ্গবন্ধুকে খ-িতভাবে তুলে ধরার প্রয়াসে থেকে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বাক্যটি ব্যবহার করেছে। মফিদুল হক বলেন, জাতির জন্য পরম সৌভাগ্য যে, আমরা এখন দুটি বই পেয়েছি। বই দুটি হলো ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’। এই দুটি বই সত্যিকার অর্থের বাঙালীর আকরগ্রন্থ। যে বই দুটির পা-ুলিপি হারিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে উদ্ধার হওয়াতে বই দুটিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের ইতিহাসের বিশালব্যাপ্তি এবং অনেক অজানা অধ্যায় আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে শোকের মাস আগস্ট। এ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের দুর্লভ স্থিরচিত্র নিয়ে মাসব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি স্থান পেয়েছে। নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের আদর্শকে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
×