ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাইগারদের স্পিন কোচ যোশির দায়িত্ব শুরু

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৫ আগস্ট ২০১৭

টাইগারদের স্পিন কোচ যোশির দায়িত্ব শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগেই জানা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি যোগ দেবেন। বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হিসেবে বিসিবির সঙ্গে সব চুক্তি সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার দলে যোগও দিয়েছেন। সাকিবদের শিক্ষা দেয়াও শুরু করে দিয়েছেন যোশি। প্রথমদিনের মতো বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের শিক্ষা দিলেন ভারতের সাবেক স্পিনার যোশি। সাকিবের কাছে যোশিকে কেমন লাগল? সাকিব জানালেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) তো প্রথম তার সঙ্গে কাজ করলাম। কথা বলে খুব ভাল লেগেছে। আরও বেশি কমেন্ট করার জন্য সময় লাগবে আসলে।’ অনেক চেষ্টার পর অবশেষে স্পিন কোচ পেয়েছেন সাকিব, মিরাজ, তাইজুলরা। ২০১৬ সাল থেকেই স্পিন বোলিং কোচ নেই। বৃহস্পতিবার সেই কোচ মিলে গেল। কাজও শুরু করে দিয়েছেন যোশি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকেই স্পিন কোচ হিসেবে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু পায়নি। ম্যাকগিলকে না পেয়ে যোশিকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দুই মাসের জন্য স্পিন কোচ হিসেবে যোশিকে পেলেন সাকিব, মিরাজরা। ভারতের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার কাজও শুরু করে দিয়েছেন। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আপাতত দুই মাসের চুক্তি হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতে এ চুক্তি বাড়তেও পারে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে যোশি থাকছেন। এমনকি বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যোশি দলের সঙ্গে থাকবেন। এরপর তাকে আরও রাখা যায় কিনা যোশির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রুয়ান কালপাগে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন। কালপাগেকে বিসিবি বরখাস্ত করেছে। এরপরই স্পিন কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিবি। ভারতের সাবেক কোচ অনীল কুম্বলের পরামর্শেই যোশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়োগও দিয়েছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানই কুম্বলের পরামর্শে যোশির সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছিলেন, ‘অনীল কুম্বলেই আমাদের কাছে সুনীল যোশির নাম বলেছেন। সে বিবেচনায় তাকে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।’ সেই প্রস্তাব কাজেও লেগেছে। সুনীল যোশি সর্বশেষ আসামের কোচ ছিলেন। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে এখন বিসিবির কোচ যোশি। ১৫টি টেস্ট ও ৬৯ ওয়ানডে খেলেছেন যোশি। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এরপর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি সিরিজ খেলেছিলেন। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার জম্মু ও কাশ্মীরের কোচ ছিলেন। ছিলেন ওমানেরও স্পিন বোলিং কোচ। গত এক বছর ধরেই স্পিন বোলিং কোচহীন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রুয়ান কালপাগে গত বছর আগস্টে চাকরিতে যোগ দেননি। তাকে গত বছর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু কালপাগে শেষ পর্যন্ত যোগ দেননি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কালপাগে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের সহকারী ও স্পিন বোলিং কোচ হয়ে আসেন কালপাগে। অন্য কোচদের মতো তার চুক্তির মেয়াদও ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে কালপাগে বাংলাদেশ দলে আর যোগ দেননি। এরপর থেকেই স্পিন কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিবি। কিন্তু মনমতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে যোশিই হলেন স্পিন কোচ। সেই সঙ্গে সাকিব, মিরাজরাও স্পিন কোচ পেলেন। বৃহস্পতিবার স্পিনারদের সঙ্গে যোশি কাজও শুরু করে দিয়েছেন।
×