ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের স্পিন মোকাবেলা ও নিজেদের স্পিনারদের কাজে লাগাতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া

স্পিনেই আস্থা রাখছেন এ্যাগার

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৩ আগস্ট ২০১৭

স্পিনেই আস্থা রাখছেন এ্যাগার

মোঃ মামুন রশীদ ॥ বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে উইকেটসহ পুরো মাঠেরই। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা উইকেট ছিল পুরোপুরি স্পিনবান্ধব, সাধারণত মিরপুরে বরাবরই দেখা গেছে স্পিনারদের দাপট। এবারও তেমনটাই হবে সেটাই বলছেন সবাই। উইকেট নতুন করে গড়া হলেও অস্ট্রেলিয়ার স্পিন অলরাউন্ডার এ্যাশটন এ্যাগারের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই প্রথম টেস্টে স্পিনই পার্থক্য গড়ে দেবে। আর সেজন্য অসি ব্যাটসম্যানরা স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে নিয়মিত অনুশীলন করছেন এবং তাদের দলের সঙ্গে আসা স্পিনাররাও জোর অনুশীলন করছেন নিজেদের বোলিংকে ক্ষুরধার করে তোলার জন্য। স্পিনের সঙ্গে আবার ব্যাটিংয়েও পারদর্শী হিসেবে এ্যাশটনের দারুণ সুযোগ আবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার। তিনি নিজেও সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। চার বছর পর আবার খেলতে মুখিয়ে থাকা এ্যাগার চান বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরতে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন ২৩ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ক্রিকেটার। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে এ্যাশেজ সিরিজে স্বপ্নময় এক অভিষেক হয়েছিল এ্যাগারের। কিন্তু নিজেকে খুব বেশি রঙিন করে মেলে ধরতে পারেননি। আবারও স্কোয়াডে ঠাঁই পেয়েছেন জাতীয় দলে। কারণ এই চারটি বছর তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে ক্রিকেট সম্পর্কে অনেক শিক্ষা লাভ করেছেন এবং দাবি করেছেন আগের চেয়ে নিজের দক্ষতার উন্নতি ঘটেছে। খেলার সুযোগ পেলে এখন মেলে ধরতে চান নিজেকে। এ বিষয়ে এ্যাগার বলেন, ‘চার বছরের অভিজ্ঞতা এবং এই চার বছর বাড়তি বোলিং অনুশীলন করেছি যেটা স্বাভাবিকভাবেই আগের চেয়ে নিজের উন্নতি ঘটায়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই চার বছরে আমি ক্রিকেট খেলাটাকে শিখেছি। এখনও প্রচুর সময় আছে নিজের সম্পর্কে জানার। আমি প্রতিটি অংশ নিয়েই কাজ করছি এবং সে কারণেই উপভোগ করছি। আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি বেশ তুষ্ট এবং আশা করছি সুযোগ পেলে কিছু রান করতে পারব। আমার মনে হয় চাপ হচ্ছে সেটাই যা আপনি নিজের ওপর প্রয়োগ করবেন। আমি দলে আমার দায়িত্ব পালন করব এবং নিজেকে মেলে ধরব। তিনি (লেহম্যান) যদি বলেই থাকেন যে দুই স্পিনার খেলাবেন সেক্ষেত্রে বেশ ভালভাবেই আমি জায়গা পেয়ে যেতে খুবই আশাবাদী। আমি আর সোয়েপসন। সে খুব ভাল বোলার এবং আমি মনে করি আমাদের বাইরেও কোন একজন হতে পারে কিন্তু আমার বেশ ভাল সুযোগ আছে।’ বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে থাকা প্রতিটি সদস্যকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে প্রতিপক্ষ কি করবে সেটা নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে এখন নিজেদের নিয়েই বেশি চিন্তা করছে অসিরা। এমনটাই দাবি এ্যাগারের, ‘আমরা নিজেদের প্রতিই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। নিজেদের দক্ষতার ওপর জোর দিয়ে কিভাবে তাদের দক্ষতাকে পরাস্ত করতে হবে সে বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা তাদের সবগুলো খেলোয়াড়কেই বিশ্লেষণ করেছি। আমরা নিজেদের নিয়েই বেশি চিন্তিত এবং সবকিছু কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা নিয়েই ভাবছি।’ আর এই ভাবনা থেকে এবং আগের সিরিজগুলোর ফলাফল অনুসারে অস্ট্রেলিয়া দল নিশ্চিত হয়ে গেছে মিরপুরে স্পিনারদেরই দাপট থাকবে। এ বিষয়ে এ্যাগার বলেন, ‘আমি যখন বোলিং করছি তখন কিছু বাঁহাতি স্পিনের বিরুদ্ধে শট খেলছে এবং তারা অধিকাংশই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। এসব মাঝে মাঝে উইকেট এনে দেয় এবং অবশ্যই এ বিষয়টা আমাদের পক্ষে কার্যকর হবে।’ কিন্তু মিরপুরের উইকেট যেমন আচরণই করুক দলের পেসারদের ওপরও আস্থা রাখছে অসিরা। বিশেষ করে পুরনো বলে রিভার্স সুইং করানোর বিষয়টি মাথায় রেখে সেই অনুশীলনও করছে জোরালোভাবে। এ বিষয়ে এ্যাগার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই স্পিন খুব বড় ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে এবং সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমি প্রচুর অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। আমি ভারতে খেলেছি এবং বেশ ভাল ধারণা পেয়েছি যে কিভাবে বল করতে হবে। তবু আমি মনে করি আমাদের ফাস্ট বোলাররা- হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন আছে এখানে এবং তারা খুবই ভাল বল করে। বল যদি রিভার্স করে সেক্ষেত্রে তারাও বিশাল ভূমিকা পালন করবে।’
×