ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে অভিমত

উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২০ আগস্ট ২০১৭

 উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগকে প্রাধান্য দিতে হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে বাণিজ্যও বাড়বে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠাও জরুরী। শনিবার রাজধানীর বিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ: একটি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মূল্যায়ন’-শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর গবর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতাউর রহমান। সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। খোলা মন নিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনাও করতে হবে। আমাদের প্রয়োজনেই এটা করতে হবে। এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যও দরকার বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কোন রাজনৈতিক ঐকমত্য নেই। যা ভারতসহ সব দেশে আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা ভারতের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। আবার যখন বিরোধী দলে গিয়েছে তখন উগ্র ভারত বিরোধিতা করেছে। এটা তো হওয়ার কথা নয়। সম্পর্ক হবে সরকার টু সরকার। সম্পর্ক হওয়া উচিত রাষ্ট্র টু রাষ্ট্র। তবে হ্যাঁ কোন দেশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে আর একটি বিশেষ দলের ভাল সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্র টু রাষ্ট্র তো সে সম্পর্ক হওয়া উচিত যার যার দেশের নিজ স্বার্থকে মাথায় রেখে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। প্রায়ই এই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের তুলনা দিয়ে থাকেন। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বাণিজ্য হয়ে থাকে, একই পরিমাণ বাণিজ্য চীনের সঙ্গেও হয়ে থাকে। তবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বাণিজ্য নিয়ে তারা তুলনা করেন না। একইভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিয়েও তুলনা করেন না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশী অস্ত্র ও এ্যালকোহল ছাড়া সব পণ্যেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। তবু বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা কখনই ভারতে রফতানি করতে আগ্রহী নন। ভারতের বিশাল একটি বাজার আছে। তবু আমাদের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা সেটা নিয়ে আগ্রহী নন। তারা আমেরিকা, ইউরোপ বা কানাডাতেই বেশি আগ্রহী। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ^ বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিয়ে বাংলাদেশ আমদানি ও রফতানি নীতি গ্রহণ করে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অগ্রগতি হচ্ছে সেটা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও বেশি। ভারতের অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও কৌশিক বসু দু’জনেই এটা স্বীকার করেছেন।
×