ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে পুত্রকে প্রহারের বিচার চাইতে গিয়ে খুন হলেন পিতা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৬ আগস্ট ২০১৭

হবিগঞ্জে পুত্রকে প্রহারের বিচার চাইতে গিয়ে খুন হলেন পিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১৫ আগস্ট ॥ পুত্রকে প্রহারের বিচার পেতে থানায় এক অসহায় পিতার মামলা। তবে আসামি গ্রেফতারে তাৎক্ষণিক পুলিশ উদ্যোগী না হওয়ায় প্রথমে অপহরণ এবং নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হলেন গোলাপ মিয়া (৫০)। মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জের উপজেলা নবীগঞ্জের চরগাঁও এলাকার নয়াবাড়ী সংলগ্ন জঙ্গল ঘেরা কবরস্থান থেকে গোলাপের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাকিরা বেগম নামে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এই হত্যাকা-ে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশ মনে করছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মৃত্যুর আগে সংশ্লিষ্ট থানায় দায়েরকৃত গোলাপের মামলার অভিযুক্ত আসামিরাই এই হত্যাকা- ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ ও নিহত গোলাপ মিয়ার নিকটজনেরা জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে গোলাপের সঙ্গে তার চাচাত ভাই তালেব আলী গংদের বিরোধ ছিল অনেক দিনের। এরই মাঝে গতকাল সোমবার রাতে গোলাপ মিয়ার বসত গৃহের চালের ওপর দিয়ে ডিশ লাইন টানাতে গেলে তালেব মিয়া ও তার লোকজনের মাঝে তুমুল বাগ-বিত-া হয়। এরই জের ধরে নাকি তালেব গংরা গোলাপের পুত্র সুমনকে বেদম প্রহার করে। এই ঘটনায় গোলাপ তার পুত্র সুমনকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হন এবং মামলা করতে গেলে পুলিশ নাকি গড়িমসি করে। তবে অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গোলাপ তালেব মিয়াসহ ৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলার নাম আসামি হিসেবে উল্লেখপূর্বক থানায় অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। একই সময় গোলাপ তার অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলেও দেখছি-দেখব বলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। এসময় সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় গোলাপ তার পুত্র সুমনকে বাড়ির উদ্দেশে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে গোলাপ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু পথিমধ্যে সে অপহৃত হয়। এই বিষয়টিও পুলিশকে নাকি জানানো হয়। এদিকে মঙ্গলবার রাতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির সঙ্গে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি গোলাপ অপহরণের পর হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে বলে জানান। তবে পুলিশের নাকি কোন গাফিলতি ছিল না। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে গোলাপের রক্তাক্ত মৃতদেহ ওই কবর স্থানের জঙ্গলে পড়ে থাকার খবর পেয়ে তারা উদ্ধার করেন।
×