ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে মহা-যাত্রা উৎসবে ভক্তের ঢল

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৮ আগস্ট ২০১৭

দিনাজপুরে মহা-যাত্রা  উৎসবে ভক্তের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ পূজার্চনা ও ধর্মীয়-ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মালম্বীদের ৩ দিনব্যাপী ৪৪তম মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহানযাত্রা উৎসব। আয়োজকরা জানান, মূলত দেশ ও দেশের শান্তি কামনা ও শিব ঠাকুরকে রাজি-খুশি করতে প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে ঝুলন যাত্রা থেকে রাখি পূর্ণিমার মাঝে সোমবার তিথিতে এই কৈলাশপতির মহানযাত্রা উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর নারী-পুরুষ। গত শনিবার রাতে হাজার হাজার ভক্ত-পুণ্যার্থী বাসযোগে দিনাজপুর শহর হতে ৩৪ মাইল দূরে বীরগঞ্জ উপজেলাধীন মহুয়গাঁ শ্মশানঘাট মন্দিরসংলগ্ন পুনর্ভবা নদীর উত্তরমুখী প্রবাহিত জল সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে রাতব্যাপী কীর্তন চলে। পরদিন রবিবার ভোরে উত্তরমুখী প্রবাহিত জল সংগ্রহ করতে নদীতে নেমে পড়েন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। সূর্য দেবতাকে প্রণাম করে সেই জল সংগ্রহ করে সেখানে অবস্থিত শিব মন্দিরে জল ঢেলে পুনরায় একই নিয়মে জল সংগ্রহ করে সেখানকার পুরোহিত দিয়ে সেই জল পবিত্র করে শহরের আনন্দ সাগরস্থ গোষ্ঠধাম প্রাঙ্গণে শিব মন্দিরের উদ্দেশে খালি পায়ে যাত্রা শুরু করেন। সেখানকার পুরোহিত মাখনলাল চক্রবর্তী ও প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছর এই মহুয়া নদীতে হাজার হাজার ভক্ত-পুণ্যার্থীরা পুণ্যজল সংগ্রহ করতে যান। পরে ৩৪ মাইল রাস্তা খালি পায়ে হেঁটে শহরের চকবাজারস্থ শীতলা মন্দিরে পৌঁছায় সন্ধ্যার সময়। সোমবার দিনাজপুর শহরের আনন্দ সাগরস্থ গোষ্ঠধাম প্রাঙ্গণে শিব মন্দিরে সেই সংগ্রহকৃত পুণ্যজল শিব ঠাকুরের মাথায় ঢেলে এই মহানযাত্রা উৎসব সম্পন্ন করেন ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা। অপরদিকে একই নিয়মে আনন্দ সাগর হতে ৭ মাইল পূর্বে অবস্থিত কাঁউগাঁও-সাহেবগঞ্জ হাটসংলগ্ন আত্রাই নদীর উত্তরমুখী প্রবাহিত পুণ্যজল সংগ্রহ করেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভক্ত। সেখানে থেকে পুণ্যজল সংগ্রহ করে খালি পায়ে হেঁটে আনন্দ সাগরস্থ মন্দির অভিমুখে যাত্রা করেন তারা। ‘বলে বোম কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক অশোক আগরওয়ালা জানান, দিনাজপুরে ১৯৭৪ সালে এই মহানযাত্রা উৎসব শুরু হয়। পরে প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হয়। এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ কৈলাশপতির ¯মহানযাত্রা। কমিটির সদস্য সন্তোষ আগরওয়ালা বলেন, আমরা এই পূজা পরিচালনা করছি ৪৪ বছর ধরে।
×