ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে ২৫ প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৮ আগস্ট ২০১৭

কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে ২৫ প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গনে সদর উপজেলার চড়কাউয়া বাজারের ছোট-বড় ২৫টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার চারটি ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অব্যাহত ভাঙ্গনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ আরও প্রায় শতাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সোমবার সকালে সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হঠাৎ ভাঙ্গন শুরু হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। নদীতে বিলীন হওয়া দোকানি রণজিত সরকার জানান, কীর্তনখোলার আকস্মিক ভাঙ্গনে তার মিষ্টির দোকান মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক সাগর বলেন, ভাঙ্গনে ২৫টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে কমপক্ষে তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে চরকাউয়া বাজার ভাঙ্গনরোধে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে। তবে ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বড় ধরনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক নুরুল হুদা বলেন, কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শ্রেণীকক্ষসহ চারটি ভবন বিলীন হয়েছে। অন্য ভবন ঝুঁকির মধ্যে থাকায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর এই মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাহেবের হাট বন্দর থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ জানান, জনতার নিরাপত্তার কথা ভেবে রবিবার রাত থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকির হোসেন বলেন, ভাঙ্গন কবলিত ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকতাকে পাঠানো হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে সরকারী সহায়তা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকাটি এর আগেও ভাঙ্গনের কবলে পড়লে ভাঙ্গনরোধ করা হয়। তবে সেখানে প্রকট স্রোতের কারণে আবারও ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
×