ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াতীদের চক্রান্ত

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৭ আগস্ট ২০১৭

ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াতীদের চক্রান্ত

সোহেল তানভীর ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মনে করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল নীল দলের সিনিয়র নেতারা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম এই উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে নীল দলের বিদ্রোহী প্যানেল, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল ও বাম দলের নেতারা রয়েছেন ঐক্যবদ্ধ! তাদের দাবিও একই রকম। তাদের দাবি হচ্ছেÑ যে কোন প্রকারেই হোক উপাচার্য প্যানেল বাতিল করা। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমও উদ্দেশ্যমূলকভাবে এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে। প্রতিদিন উপাচার্য প্যানেল বাতিলের জন্য উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। ষড়যন্ত্র সফল হলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ভিসি প্যানেল বাতিল হলে কারা উপকৃত হবে? এমন প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে। এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের সিনিয়র শিক্ষকরা বলছেন, জাতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ২০১৯ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে পারলে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র সফল হবে। আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করি তারা কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে দেব না। সকল ষড়যন্ত আমরা মোকাবেলা করব। গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ১১(১) ধারা অনুযায়ী মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩ জনের প্যানেল মনোনয়ন করা হয়। অধিবেশনে উপস্থিত সিনেট সদস্যদের সর্বসম্মতিতে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেলে মনোনীতরা হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন, থিওরিটিক্যাল এ্যান্ড কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আজিজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২১(২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সিনেটের এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন। এই উপাচার্য প্যানেল নিয়ে নীল দলের বিদ্রোহী প্যানেল, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল ও বাম দলের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবিও এক। তারা বলেছেন, সিনেট অপূর্ণ রেখে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন সময়ই শতভাগ সিনেট সদস্যের উপস্থিতির ভিত্তিতে উপাচার্য প্যানেল গঠিত হয়নি। ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সিনেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ৮৫ জন সদস্য। ১৯৭৬ সালের সিনেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ৬৭ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সিনেট সবসময়ই অপূর্ণ ছিল। তবে সিনেট কার্যক্রম কখনও থেমে থাকেনি। অধ্যাদেশ (১৯৭৩) অনুযায়ী, সিনেট সভা বসার জন্য ন্যূনতম ২৫ জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হয়। যাকে কোরাম বলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নির্বাচনের জন্য এবারের বিশেষ সিনেট অধিবেশনে ৫৫ জনের মধ্যে ৪৭ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে তিন সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করা হয়। তবে অধ্যাদেশের ভুল ব্যাখ্যা করেও বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিদিন সংবাদ প্রকাশ করছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ বিষয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. রহমত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনের অপব্যাখ্যা করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শিক্ষকরা সবাই মিলে নেন। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়ায় আইনের অংশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। উপাচার্যকে টার্গেট করে সংবাদ প্রকাশ করছে। এটা ঠিকানা। আজকে যারা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত প্যানেলের বিরোধিতা করছেন তাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। সিনেট সভা ডাকার বিষয়ে বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৯৭৩ সালের ইউনিভার্সিটি অর্ডারের ২১(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপাচার্য একটি দিন নির্ধারণ করে বছরে একটি সভা ডাকবেন যাকে সিনেটের বার্ষিক সভা বলা হবে। ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে, উপাচার্য যখন সঠিক মনে করবেন তখন তিনি সিনেটের বিশেষ মিটিং ডাকতে পারবেন; নইলে সিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে অন্তত ৩০ জন সদস্য যদি লিখিতভাবে সভা ডাকার অনুরোধ জানিয়ে রিকুইজিশন দেন, তখন তিনি বিশেষ সভা ডাকতে বাধ্য থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়ন ও পাসের জন্য এমন একটি বার্ষিক সভা অনুষ্ঠান করতেই হয়। গত ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৬৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। সেই অধিবেশন নিয়ে তখন কেউ প্রশ্ন তুলেন। এছাড়া গত ২০১৩ সালে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনেও রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটরা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। তখন কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেননি। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ২০১৩ সালের উপাচার্য প্যানেল নিয়ে তারা কোন প্রশ্ন তুলেন। আর এখন তারা প্রশ্ন তুলছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা এসব কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি, ৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকার মনোনীত ৫ জন সরকারী কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজের ১৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ জন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত ৫ জন শিক্ষাবিদ, ডাকসুতে নির্বাচিত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (১ জন) সমন্বয়ে। এ ছাড়াও উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সিনেটের সদস্য থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে বর্তমানে ভিসি/ প্রো-ভিসিদ্বয়/ ট্রেজারার মিলিয়ে ৪ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ৩৫ জন, সংসদ সদস্য ৫ জন, সরকারি কর্মকর্তা ৫ জন এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত শিক্ষাবিদ ৫ জন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ১ জন, সর্বমোট ৫৫ জন সদস্যের অস্তিত্ব কার্যকর রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের কোথাও বলা নেই যে, সিনেট সবসময় পূর্ণ থাকতে হবে। অথচ অধ্যাদেশের ৫৫ নং ধারায় বলা হয়েছে, সিনেট পূর্ণ না হলেও কার্যক্রম সচল থাকবে। নীল দলের বিদ্রোহী গ্রুপের মামলা গত ১৬ জুলাই উপাচার্য নির্বাচনের সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক চিঠি দেয়ার পর নীল দলের একটি গ্রুপ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন না করার কারণ দেখিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। প্রথমে আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপীল করে। আপীলের রায়ে চেম্বার জজ আগের অর্ডারটি রহিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন করতে অনুমতি দেন। পরে এটি আপীল বিভাগে যায়। আপীল বিভাগ ভিসি প্যানেলের সকল কার্যকারিতা স্থগিত রেখে মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান উপাচার্যকে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকার নির্দেশ দেয়। সাদা দলের অধিবেশন বর্জন গত ২৮ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাদা দলের নেতারা বলেন, আইনগতভাবে বাধা না থাকলেও অসম্পূর্ণ সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য নির্বাচন নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। বিক্ষোভের আগে জগন্নাথের উপাচার্যের সঙ্গে বাম নেতাদের সাক্ষাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বলে সূত্রে জানা গেছে। গত ১ আগস্ট সকালে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর নেতৃত্বে এক দল বাম নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতের বিষয়ে অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও লিটন নন্দীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। জানতে চাইলে লিটন নন্দী প্রথমে সাক্ষাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই জানতে চাওয়া হয়েছে জানালে তিনি বলেন, সাক্ষাত করতে গিয়েছিলাম, তবে সাক্ষাত হয়নি। এদিকে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বয়ং অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বাম ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতা আমার অফিসে এসেছিল। তারা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক জড়িত থাকার বিষয়ে অবগত করতেই তারা এ স্মারকলিপি জমা দেয়। এর বাইরে তারা আমার সঙ্গে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেনি। স্মারকলিপির বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন নন্দী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে কোন স্মারকলিপি দেইনি। আমি এখান থেকে গিয়ে কেন তার কাছে স্মারকলিপি জমা দিব। কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম, আসার সময় কোন কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। ঢাবি বিশেষ সিনেট সভা চলাকালীন সিনেট ভবনের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষকদের সঙ্গে হাহাহাতিতে জড়ানো বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল সোয়া দশটার দিকে উপাচার্য মিজানুর রহমানের কার্যালয়ে পৌঁছায় লিটন নন্দীসহ আরও ৪-৫ জন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা। মিজানুর রহমান তখন বাম নেতাদের নিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে যান। সেখানে তারা প্রায় ৩৫ মিনিট একান্তে আলাপ করেন। এই ঘটনার ২ ঘণ্টা পরে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এদিকে বিশেষ সিনেট অধিবেশন চলাকালে শিক্ষক ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘটিত হাতাহাতির ঘটনাকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন মহল অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে গত ৩১ জুলাই বিবৃতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে তা বিনষ্ট করাই এ ধরণের ঘটনার উদ্দেশ্য।
×