ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিষণ্ণতা কাটাতে নতুন বিস্ময় ড্রাগ

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৭ আগস্ট ২০১৭

বিষণ্ণতা কাটাতে নতুন বিস্ময় ড্রাগ

অর্ধশতাব্দী আগে বিষণœতা দূর করার ওষুধ যখন চালু হয় তখন সেটি বিস্ময় ওষুধ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল সবার এ ওষুধে কাজ হয় না। বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি নর-নারী আজ বিষণ্ণতার শিকার। এদের এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসা সাড়া দেয় না। হালে এক বিস্ময়কর নতুন ওষুধ বেরিয়েছে যা অবস্থাটা পাল্টে দিতে পারে। এই নতুন ওষুধ নিয়ে কিছু বলার আগে পুরনো প্রসঙ্গে দুটি কথা বলে নেয়া ভাল। আগে প্রায় ১২ শতাংশ আমেরিকান বিষণ্ণতানাশক ওষুধ খেত। বিশ্বব্যাপী এই ওষুধ বিক্রি থেকে ২০১৪ সালে আয় হয়েছিল প্রায় ১৪৫০ কোটি ডলার। ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৬.৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক বা ১ কোটি ৬০ লাখ লোক ভোগে। তাছাড়া ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিশু ও কিশোর এ রোগে ভুগছে। এটি বিশ্বে অসুস্থতার শীর্ষস্থানীয় কারণ। এর জন্য শুধু মার্কিন অর্থনীতির বছরে ক্ষতি হয় ২১ হাজার কোটি ডলার। বিষণœতা চিকিৎসার ওষুধ প্রচুর আছে। কিন্তু ওগুলো প্রত্যাশিতভাবে কাজ দিচ্ছে না। প্রচলিত ওষুধগুলোর ব্যাপারে চিকিৎসকরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন। ডিপ্রেশনকে বরাবরই সাধারণ মন খারাপ অবস্থা থেকে আলাদা করে দেখা হয়। কিন্তু কি কারণে তা হয় এবং এটা নিরাময়ের সর্বোত্তম কি উপায় আছে সে সংক্রান্ত ধারণা কালক্রমে বদলে গেছে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে হিপ্রোক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে প্লীহা, থেকে নিঃসৃত চার ধরনের রসের কারণে অতিরিক্ত কালোপিত্ত উৎপন্ন হয়ে মেলাঙ্কলিয়া সৃষ্টি হয় সেটাকে আজ আমরা ডিপ্রেশন বলি। গ্রীকরা এর চিকিৎসায় খাদ্যাভাস পরিবর্তন, ব্যায়াম, ঘুম, স্নান ও ম্যাসেজের এবং আরও কঠিন ব্যবস্থা হিসেবে বমি করা ও শরীর থেকে কিছু রক্ত বের করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। পরবর্তী প্রাচীন যুগে সেক্সকেও ভাল দাবাই গণ্য করা হতো। মধ্যযুগে ডিপ্রেশনকে আত্মার রোগ বলা হতো এবং শয়তান ভর করায় এটা হয় বলে ভাবা হতো। বিষণœœতার শিকার অনেক নারীকে ডাইনি বলে গণ্য করে পুড়িয়েও মারা হতো। ডিপ্রেশনের উৎপত্তি যে মস্তিষ্কে এবং শরীরের বয়স নয় বা দুরাত্মা ভর করার কারণে সেই ধারণাটা ১৭শ’ শতাব্দীর আগে হালে পানি পায়নি। সে সময় টমাস উইলিস নামে এক নিউরোলিজিস্ট বলেন যে, মেলাঙ্কলিয়া মস্তিষ্কও হৃৎপি-ের এক জটিল সমস্যা। তবে গ্রীকদের মতো লাইফস্টাইল পরিবর্তন ছাড়া তিনি তেমন কোন সমাধান দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মনে করা হয় যে ডিপ্রেশন অন্তত আংশিকভাবে একটা জৈবিক ব্যাপার। পরবর্তীকালে হারবাল চিকিৎসা থেকে শুরু করে আফিম চিকিৎসা, মিউজিক চিকিৎসা সবই বের হয়। ১৯৩৮ সালে কার্ডিও কনভালসিভ থেরাপিকেই ডিপ্রেশনের একমাত্র কার্যকর আধুনিক চিকিৎসা বলে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতির কারণে কখনও কখনও স্মৃতি লোপ ঘটত এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিত। ১৯৫০-এর দশকে ডাক্তাররা লক্ষ্য করেন যে, কিছু কিছু রাসায়নিক উপাদানের সংমিশ্রণে ডিপ্রেশনের সকল চিকিৎসা হতে পারে। বের হয় আইপ্রোনিয়াজাইড। এতে বেশ ভাল ফল পাওয়া যায়। এ দশকের শেষ নাগাদ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত প্রায় ৪ লাখ লোক এই ওষুধ সেবন করছিল। অচিরেই আবিষ্কৃৃত হয় যে এই ওষুধে লিবারের ক্ষতি হয়। ফলে ১৯৬১ সালে মার্কেট থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওষুধটি। ইমিপ্রামিন নামে আরেকটি ড্রাগও ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় কাজ দিয়েছিল। এই ওষুধগুলো কিভাবে কাজ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা ডিপ্রেশন প্রথমত কি কারণ হয় সে সম্পর্কে নতুন এক ধারণা পেয়ে যান। তারা জানতে পারেন যে, মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার যথা সোরাটনিন, নরেপাইনফ্রিন ও ডোপামিনের মাত্রা কমে গেলে এ সমস্যা হয়। ব্যস, এটা জানার পর বের হয় প্রোজাক নামে এক নতুন আশ্চর্য কার্যকর এন্টিডেপ্রেসেন্ট এবং সেটা ১৯৮৭ সালে। মুহূর্তে বাজারে হিট করে এটি। তিন বছরের মধ্যে সারা বিশ্বের ২০ লাখ লোক এটি গ্রহণ করতে থাকে। অন্যান্য কোম্পানিও ভিন্ন ভিন্ন নামে একই ড্রাগ বের করে। চুটিয়ে ব্যবসা করতে থাকে কোম্পানিগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত এরও সীমাবদ্ধতা বের হয়। এটা সবার ক্ষেত্রে কাজ করে না। প্রোক্যাক পেয়ে পুরো নিরাময় হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা ৩৫ শতাংশ। এক সমীক্ষায় ৫ বছরে ডিপ্রেশনের রোগীদের ওপর চারটি ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী বিষণœœতার লক্ষণ থেকে মুক্ত হয়েছে। ৩০ শতাংশ হয়নি। আরেক সমস্যা হচ্ছে এসব ড্রাগ কাজ শুরু করতে ১ থেকে ২ মাস সময় লেগে যায়। শুরু হয় নতুন গবেষণা। অনেক বিশেষজ্ঞ ও ড্রাগ কোম্পানির এখন টার্গেট কেটামিন হাইড্রোক্লোরাইড। এটাই যুক্তরাষ্ট্রে আইনসম্মতভাবে প্রাপ্তিযোগ্য একমাত্র সাইকিডোলিক ড্রাগ। কেটামিন অপারেশনের আগে রোগীদের চেতনা লোপ করতে বেশি ড্রোজে ব্যবহার করা হয়। এটি তার অন্যতম। এখন কোটামিনের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দেখা গেছে, এটি ডিপ্রেশন চিকিৎসা ভাল কাজ দেয়। এমনকি যারা পুরনো রোগী এবং অন্য ওষুধ খেয়ে ফল পায়নি তারা কেটামিনে ভাল সাড়া দিয়েছে। কেটামিন আত্মহত্যার প্রবণতারোধেও উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। কেটামিন ঠিক কিভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। তবে তারা একমত যে সেরোস্টনিন, ডোপামিন ও নরেপাইনফ্রিনের মতো আদর্শ এন্টিডিপ্রেসেন্ট যে পথ ধরে চলে কেটামিন সেই পথ বেছে নেয় না, বরং বিশেষজ্ঞদের মতে কেটামিন মস্তিষ্কে বেশ কিছু রিসেপটরকে উদ্দীপ্ত করে। অর্থাৎ মস্তিষ্কের কিছু অংশকে জন্মানো ও পরিবর্তন করার ক্ষমতাকে চালু করে দেয়া। এটাকে বলে সাইন্যাপটিক প্লাস্টিসিটি। বিষণœতারোধক যে সব ওষুধ আছে সেগুলোও প্লাস্টিসিটি বাড়িয়ে দেয়। তবে কেটামিন এই কাজটা অনেক দ্রুত এবং অনেক বেশি জোর দিয়ে করে। কিভাবে কেটামিন কাজ করে তা এই ড্রাগটির অনেক অজানা বিষয়ের একটি। বার বার অল্প অল্প মাত্রায় কেটামিন নিলে তার পরিণতি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি হতে পারে ডাক্তাররা তা জানেন না। লোকে এর ওপর নির্ভরশীল হতে পারে। যারা আনন্দ বিনোদনের জন্য কেটামিন সেবনে আসক্ত তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন এই ড্রাগ সেবনের কারণে ব্লাডার বা মূত্রথলিতে বিষক্রিয়া ঘটতে এবং চেনা-বোঝার ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। তবে এনেসথেটিক হিসেবে কেটামিন নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য এনেসথেসিয়া তো এক-আধবার নেয়া হয়। এটা তো আর মাসের পর মাস ধরে বা বছর ধরে নেয়া হয় না। কেটামিনের প্রভাব অস্থায়ী। ডিপ্রেশন বা বিষণœতা আবার ফিরে আসে। তাই বিষণœতার সমান দূরে রাখার জন্য প্রতি কয়েক সপ্তাহ কি আরও বেশি সময় পর পর কেটামিনের ইনফিউশন নেয়া প্রয়োজন। কেটামিন চিকিৎসা ব্যয়বহুলও বটে। প্রতি ইনফিউশনের জন্য চার শ’ থেকে ৮ শ’ ডলার লাগে। কারও যদি ঘন ঘন নেয়ার যেমন দু’সপ্তাহ পর পর লেখার দরকার হয় তাহলে বছরে চোখ বন্ধ করে ১৫ হাজার ডলারেরও বেশি পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত এটিডিপ্রেশন্ট দিয়ে চিকিৎসা সাড়া দেয় না এমন লোকের সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। এমন এক বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার দখলের জন্য সাইক্রিয়াটিস্ট বা এনেসথেসিওলস্টিদের পরিচালিত প্রাইভেট কেটামিন ক্লিনিক হালে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গজিয়ে উঠেছে। এই ক্লিনিকগুলো কিভাবে কেটামিন প্রয়োগ করে এবং এরা রোগীদের রক্তচাপ, হার্টরেট, মানসিক পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে কিনা সে ব্যাপারে কোন নিয়মবিধি নেই। তাছাড়া এক ক্লিনিকের সঙ্গে অন্য ক্লিনিকের পদ্ধতিগত পার্থক্যও আছে। অনেক চিকিৎসক আবার কেটামিন চিকিৎসার ব্যাপারে ভিন্ন মতও পোষণ করেন। যেমন ইয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেশর্ড সানাকোরা বলেন, বিষণœ মন প্রফুল্ল করতে কেটামিনের মতো ওষুধ গত ৫০ বছরেরও মধ্যে সম্ভবত আর আসেনি সত্য। তথাপি বাস্তবতা হচ্ছে এই চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা এখনও অনেক কিছুই জানি না। কেটামিন বিষণœতা রোগের দীর্ঘমেয়াদী উত্তম সমাধান কিনা সে ব্যাপারে অন্যান্য বিজ্ঞানীরও সন্দেহ আছে। কেটামিনের অভ্যাসগত অপব্যবহারের ঝুঁকিও আছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে কেটামিন নেশাকর হতে পারে। কেটামিন আফিমের মতো কাজ করে কিনা দেখার জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা পরীক্ষা চলছে যার ফল মিলবে ২০১৮ সালে। কিছু গবেষক কেটামিনের রাসায়নিক কাঠামোর একটি অংশের ওপর দৃষ্টিনিবন্ধ করেছেন যা তাদের ধারণা কেটামিনের বিষণœতানাশক প্রভাবের জন্য দায়ী। এই রোগটি নিয়ে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে এবং তাদের মনে হয়েছে কেটামিনের মতো নেশাকর নয়। কেটামিনের আরেক সংস্করণ বের করেছে জনসন এ্যান্ড জনসন কোম্পানি- নাম এসকেটামিন। বন্ধ নাকে যেভাবে ড্রপ দিতে হয় এটিও সেভাবে নাসাপথে দেয়া যাবে। ফলে এটি আইভির সুবিধাজনক বিকল্প হতে পারে। রাপাসটিনেল নামে আরেকটি আইভি ড্রাগ উদ্ভাবনের পথে রয়েছে সেটি কেটামিনের মতো একই রিসেপটরের ওপর কাজ করে। বিষণœতা চিকিৎসায় জেনেটিক্সের সম্ভাবনাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ওষুধবিহীন চিকিৎসা বিষণœœতায় আক্রান্ত অনেকে বিনা ওষুধে এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন। এগুলোর কার্যকরিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। একটি হচ্ছে ব্যায়াম। নিমিত শরীরচর্চা করলে কতিপয় নিউরের ট্রান্সমিটার বেড়ে গিয়ে বিষণœ মনকে অংশত চাঙ্গা করে তোলে। তবে একটা সমস্যা হচ্ছে বিষণœœতায় আক্রান্তরা নড়াচড়াই করতে চায় না। অথচ ব্যায়ামের লক্ষণীয় সুফল আছে। তাছাড়া এতে কোন খচর নেই। কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি বা সিবিটি। এখন এক ধরনের টক থেরাপিও বা কথা বলা চিকিৎসা। এতে নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে বদলে দেয়ার ওপর দৃষ্টিনিবন্ধ করা হয়। তারপর সুনির্দিষ্ট সমস্যাগুলো জেনে নিয়ে সেগুলো সমাধানের নতুন পথ খোঁজা হয় এ জন্য ১০ থেকে ২০টা সেশন লাগে। অনেকটা মেডিটেশনের মতো কার্যকর বিহেভিওরাল এ্যাক্টিভেশন থেরাপি বা বিএটি। বিষণœœতায় আক্রান্তরা অনেক সময় জগত সংসার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। এই চিকিৎসার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা। এর জন্য তাদের বইপড়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া প্রভৃতি ক্রিয়াকলাপে টেনে আনা হয়। মাইন্ড ফুলনেস ট্রেনিং। চিন্তা ও ছবি অনেক সময় বিষণœতাও ভীতির উৎস। মনকে সেগুলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এক ধরনের ট্রেনিং আছে। ৮ সপ্তাহের এই ট্রেনিংয়ের মধ্যে আছে হাল্কা যোগ ব্যায়াম ও প্রাত্যহিক মেডিটেশন। ট্রান্সক্র্যানিয়াম ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন বা টিএমএস। এতে একটি বড় ম্যাগনেটিক কয়েল মন মেজাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত মস্তিষ্কের একটি অংশের কাছে মাথার খুলিতে ধরে রাখা হয়। চৌম্বকীয় তরঙ্গ কয়েকটি অতিক্রম করে স্নায়ু কোষগুলোকে বেদনাহীনভাবে উদ্দীপ্ত করে। এতে বিষণœতার সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের সার্কিটগুলো স্বাভাবিক অবস্থা লাভ করে। এই চিকিৎসার জন্য ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ যাবত বেশ কয়েকটি সেশন লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ বড় ধরনের বিষণœতায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় টিএমএস অনুমোদন করেছে। সূত্র : টাইম
×