ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

কেমন সুশীলরা নির্বাচনে সেনা চায়?

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৫ আগস্ট ২০১৭

কেমন সুশীলরা নির্বাচনে সেনা চায়?

নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব, আসছে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাদের তৈরি রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রথমে দেশের সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে তাদের প্রথম করণীয়- সংলাপ অনুষ্ঠান করেছে। সাধারণভাবে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংলাপ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হতে পারেন এমন সুশীল কারা, সে বিষয়ে জনগণের আন্দাজ আছে। তারা টিভিতে, সংবাদপত্রে, নানা অনুষ্ঠানে জনগণকে চমৎকৃত করে দেয়Ñ এমন সুশীল বিশেষ কাউকে দেখা যায়নি। এদের অনেককেই দেখা যায়নি। যাদের দেখা গেছে, তাদের চাইতে অনেক বেশি পরিচিত, জনপ্রিয় আরও বেশ ক’জনকে দেখা যাবার কথা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন- তাও জানা গেল। প্রশ্ন উঠতে পারে- এসব সংলাপে কি হয়, কোন রাজনৈতিক দলের কি লাভ হয়? নির্বাচন কমিশনের কি লাভ হবে? একটা লাভ তো অবশ্য হয়েছে। কোন কোন সুশীল যারা নিশ্চয়ই সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কেউ নন, তারা বা তাদের কয়েকজন যে নিজেদের বেসামরিক অবস্থানের চাইতে সামরিক বাহিনীকে ওপরে রাখেন, তাদের ওপর অনেক বেশি আস্থা রাখেন, তা স্পষ্ট করেছেন। এরা কিন্তু ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত জঙ্গী, সন্ত্রাসী দমনে নিয়োজিত র‌্যাব-পুলিশ সদস্যদের যে কোন দেশের তুলনায় সফল হতে দেখেছেন, দেখেছেন তাদের দক্ষতা এবং প্রকৃত আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম। তবুও, তাদের কাছে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে আগ্রহী দেখা গেল কেন- এটি একটি লাখ টাকার প্রশ্ন। এই সংলাপের অনেক দূর নেপথ্যে অবশ্য বিশাল অক্ষয়, অনড় জগদল পাথরের মতো একটি বাস্তবতা দাঁড়িয়ে আছে যেটি একমাত্র ২০০৮-এর নির্বাচন কমিশন শামসুল হুদাকে তদানীন্তন সময়ে খালেদা-তারেকের দুর্গতির সময়ের বাস্তব অবস্থার কারণে দুশ্চিন্তায় ফেলেনি। সেটি হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারী, জাতির এবং দেশের মঙ্গলবিরোধী নানা অগণতান্ত্রিক পন্থা, দাবি ও নানারকম আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ। অবশ্যই এ প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে খুবই সতর্কতার সঙ্গে সুশীল সমাজের তালিকা প্রণয়ন করতে হয়েছে যাতে খুব বেশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা, যারা ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী বিএনপির মিত্র, তাদের বিচারের জন্য ’৯২ থেকে আজ পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বিচার প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে , সে বিচার কাজটিকে ত্রুটিমুক্ত করতে, দেশকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত করতে প্রহরা দিয়ে রেখেছেন, তাদের মধ্য থেকে আবার কারও নাম যেন তালিকায় উঠে না আসে! কেন নির্বাচন কমিশনকে ওই দুই জুজুর ভয়ে শঙ্কিত থাকতে হবে, ভেবে পাচ্ছি না। সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের দুর্যোগে, বন্যায়, ভাঙ্গা বাঁধ পুনর্নির্মাণে, বিশেষত বন্যার্ত, দুর্যোগ আক্রান্ত জনগণকে ত্রাণ সহায়তা সাধারণতই দিয়ে থাকে। এখানে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, সর্বত্র বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনী ত্রাণ দিচ্ছে, বাঁধ মেরামত করছে, হেলিকপ্টারে দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণের প্যাকেট ফেলছে- এমন দৃশ্য প্রতিদিন দেখব বলে যখন টিভি দেখছিলাম, তখন সেসব প্রিয় দৃশ্য দেখতে পাইনি বলে চিন্তিত বোধ করেছি যে তাহলে কি তারা কাদা পানিতে নামতে চাচ্ছে না? হেলিকপ্টারে ত্রাণ ফেলা তো দীর্ঘ দিনের নিয়ম ছিল, আগে ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত করতেও দেখেছি- এবার তেমন কিছু দেখলাম না কেন? বুঝলাম না। এ কথাটা শুধু আমার একার নয়, অনেকেই একই মত প্রকাশ করেছে যা তারা দেখে এসেছে এতকাল। ভারত, পাকিস্তানসহ প্রায় সব দেশেই সেনাবাহিনীই কিন্তু দেশের দুর্যোগে জনগণের জীবন, মাল রক্ষা করা, দেশের ভেঙ্গে পড়া অবকাঠামো মেরামত করার কাজগুলো করে থাকে, ত্রাণ বিতরণ তো করেই। এবার দেখলাম না কেন, জানি না। আবার সংলাপ ইস্যুতে ফিরে আসা যাক, সুশীল সমাজের যে ব্যক্তিরা নিজেদের বেসামরিক উচ্চশিক্ষার ওপর ভরসা রাখতে পারেন না, যারা নিজেদের উচ্চশিক্ষা নির্ভর পদের ক্ষমতার ওপরে কম শিক্ষাভিত্তিক সামরিক পদকে ধন্বন্তরি মনে করেন, তারাই কোন কারণ ছাড়া নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চাইবে। এ চাওয়ার উদ্দেশ্যগুলো কি হতে পারে? একটা বিষয় তো সবাই জানে যে, এদেশের রাজনীতিকরা যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারা কখনও সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত করার ঘোর বিরোধী। তবে, একমাত্র রাজনীতির নামে ক্ষমতা দখলের, ভোট দখলের পন্থায় যিনি সবসময় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চান। তিনি, খালেদা জিয়া সবসময় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেবার দাবি তোলেন! অর্থাৎ যেন খালেদা জিয়ার দাবিকেই এ সুশীলরা পুনরাবৃত্তি করলেন। আশ্চর্য নয় কি? ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা, তাঁর পরিবারের সদস্য হত্যা, তাঁর স্বজন, সেরনিয়াবাত, নাসের, শেখ মণি হত্যা, কর্নেল জামিল হত্যা এবং ৩ নবেম্বর ঢাকা জেলে সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানÑ চার জাতীয় নেতা হত্যা- পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হায়দার, আরও পরে কর্নেল তাহের এবং ক্যুয়ের নামে আরও কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা- এসব হত্যাই সেনাকর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। এমনকি বিমানবাহিনীর তরুণ সদস্যদেরও বিমানবন্দরে হত্যা করে সেনা সদস্যরাই! বাস্তবিক, ’৭১-এর ত্রিশ লাখ শহীদের পর, কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবী হত্যার পর, চার লাখ বীরাঙ্গনা ধর্ষণ ও হত্যার পর নতুন পাওয়া, অনেক মূল্য দিয়ে পাওয়া বাংলাদেশে তিন বছরের মধ্যেই যে বঙ্গবন্ধুর হাতে গঠিত বাহিনীর সেনাসদস্যরা এমন বর্বরোচিত আত্মঘাতী, স্বজাতি বিধ্বংসী হত্যাকা- চালাতে পারে তা ছিল কল্পনাতীত এবং কলঙ্কম-িত! তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শুদ্ধ। এর পবিত্র ধারায় ¯œাত করার প্রচেষ্টাটি প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ থেকে সূচিত হয়েছে। তাছাড়া, ’৭৫-এর বর্বরতার পর তাদের মধ্যে অন্যায় পন্থা গ্রহণকারীদের চাইতে আশা করি দেশ ও জাতির মঙ্গলাকাক্সক্ষী সেনাসদস্যই বর্তমানে অনেক বেশি সংখ্যায় আছে যারা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আগ্রহী, আন্তরিক এবং সে পথেই সক্রিয় থাকবে। তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে দেয়াই উত্তম। সুশীলদের বলব, যে পন্থায় ভারতে, যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন পরিচালিত হয়, নির্বাচনের সময় সেসব দেশে যেমন সরকার থাকে যে সরকার শুধু রুটিন কাজ করে, তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশনই সংসদের চাইতেও শক্তিশালী থাকে। তখন প্রার্থী হতে হলে সাংসদদের পদত্যাগ করতে হয়, অনেক আচরণবিধি মানতে হয়। এদেশে সেভাবেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সমর্থন দিন। আজকের মিডিয়া যদি নিরপেক্ষ থাকে, বানানো ব্যালট ভরার অসত্য পরিকল্পিত চিত্র না দেখায়, তাহলে সত্য চিত্রই জনমানুষ দেখতে পাবে। তাছাড়া দলীয় পোলিং এজেন্টরা তো সব কেন্দ্রেই থাকবে, অবশ্য তাদের কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে- এমন বক্তব্য দেবার পুরনো অভ্যাস বিএনপির আছে। সত্যি তেমন হলে সে কেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণ করতে হবে, এ তো বলাবাহুল্য। যাই হোক, বিএনপির খালেদা ও তারেক নির্বাচনী হিসাব দেখে শুনে, জেতার অবস্থা না দেখলে সম্ভবত আগামী নির্বাচনকেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো অংশগ্রহণমূলক না করে বিতর্কিত করতে চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য বিএনপিকে অন্য নেতাদের রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনে নিজেরা অংশগ্রহণ করে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের এবং সর্বোপরি বিএনপির স্বার্থ রক্ষার চিন্তা করতে হবে এবং করা উচিত। সবার স্মরণ করা দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নব্বইয়ের দশকে আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ কৌশল মনে করেছিলাম। যেহেতু এর আগে নির্বাচন কমিশন, ভোট কেন্দ্র, ভোট সবকিছু দখল হয়েছিল বিএনপির তারেকের ক্যাডার দ্বারা। পরে ২০০১-এ লতিফুর রহমান ও আবু সাঈদ মিলে যে বিএনপি দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন করে, যেটি আর্মিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মী, সমর্থক, প্রগতিশীল জনমানুষ, হিন্দু, আদিবাসী হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে ভোট দখলের হাতিয়ারে পরিণত হয়, সেই থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও পরিপূর্ণ দলীয় হয়ে ওঠে! ওই নির্বাচনে সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার তালিকায় ছিল! ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি ও তারেকের ক্যাডাররা প্রায় বিশ হাজার ভিন্ন মতের নেতা-কর্মী-সমর্থক, হিন্দু হত্যা করে! ওই সময়ে পূর্ণিমা রানী ধর্ষণের মাধ্যমে সূচনা হয় ধর্ষণ, খুন, দখল, রাহাজানির যা পুরো পাঁচ বছর চলে। এই সময়ে প্রায় দুই লাখ সংখ্যালঘু দেশত্যাগে বাধ্য হয়! এ তথ্যগুলো এই সেদিনের ঘটনা, সুশীলরা মনে হয় ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন! সব ভুলে গেছেন। সেনারা থাকতে পারে রিজার্ভ ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। নির্বাচনে প্রায় সব কেন্দ্রে পুলিশ শান্তি বজায় রাখে। হাজার হাজার স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে পুলিশ-আনসার শান্তি রক্ষা করে এবং করে চলেছে। ২০০৬-এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবার মনে ভীতিকর বস্তু হিসেবে পরিচিত হয়। তবে ভিন্ন বাস্তবতায় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করে, সেই নির্বাচন কমিশনকে এবং ইয়াজউদ্দীন, জয়নাল আবেদীনের অকল্পনীয় অবিশ্বাস্য কা- কারখানার পর বিএনপি দলীয় প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দীনকে যখন খালেদা হুকুম দিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক প্রধান করে, তারপর এলিসের ওয়ান্ডারল্যা-ের মতো আজ একদল উপদেষ্টা আসে, কিছুদিন পর তারা পদত্যাগ করে, আরেকদল উপদেষ্টা আসে। এই বছরজুড়ে চলতে থাকা অবস্থাটায় তো অবশ্যই ত্রাতা হয়ে এসেছিল সেনাসমর্থিত সরকার যখন তারা ২০০৮-এ একটি নিরপেক্ষ স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে। এখন থেকে গণতন্ত্র নিয়ে আর কোন খেলা খেলতে দেয়া উচিত হবে না কাউকে। যুক্তরাজ্য, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রে, অন্য দেশের নির্বাচনী রীতি এবং সে সঙ্গে আমাদের সংবিধান অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। আবারও বলব, আর কোন সুশীলকে আর কোন ফর্মুলা আবিষ্কার করতে হবে না। অন্য যে কোন দেশের নিয়মে আমাদের দেশেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে জাতি একটা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী হতে পারে, সে জাতির নির্বাচন কমিশন একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারে না- এ কথা আর বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। ল-নে আইএসআই, মোসাদ হয়ত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ নির্বাচনী ফল হ্যাক করতে পারে, কিন্তু সেটা তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে আবারও নির্বাচন হবে। সুশীলগণ, জনগণকে বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। সময়ে সমুচিত জবাব বাঙালী চিরকাল দিয়েছে এবং দিতে সক্ষম। একবার কি ভেবেছেন, সংসদ ভেঙ্গে দিলে কারা রুটিন ওয়ার্কগুলো করবে? আগে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব নিতেন, এখন কি হবে? সে জন্য বুঝে নিন, অন্য দেশে যা হচ্ছে, এখানেও তাই হতে হবে। সুশীলরা দেশপ্রেমিক হলে নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাদ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী এবং অন্য দেশের নির্বাচনী নিয়মই কি আগামী নির্বাচনের জন্য যথোপযুক্ত হবে বলে মনে করেন না? অযথা কুতর্ক, বিবাদের সূত্রপাত করবেন না, প্লিজ। লেখক : শিক্ষাবিদ
×