নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৩০ জুলাই ॥ শনিবার রাতে সদর উপজেলার কোয়ারপুর তেঁতুলিয়া এলাকায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মেয়েটির বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর এলাকায়। সে নানি বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছে তার আত্মীয় স্বজন। ধর্ষিতার নানি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর মা দুবাই প্রবাসী হওয়ায় সে দীর্ঘদিন ধরে নানি বাড়ি থাকে। একই গ্রামের প্রতিবেশী শাহ আলম ফকিরের ছেলে খোরশেদ ফকির তাকে মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। শনিবার রাতে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় খোরশেদ ফকির এবং তার বন্ধু দিপুসহ অপর দুই সহযোগী মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী ইটের ভাঁটিতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় মেয়েটি ঘরে না ফেরায় আত্মীয়স্বজনেরা তাকে খুঁজতে থাকে। রাত ১২টায় পার্শ্ববর্তী রাজগঞ্জ মোড়ে ইটের ভাঁটিতে নিকট গিয়ে মেয়েটির সন্ধান পায়। তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাপাচা ও মীমাংসার চেষ্টা করে। সেখানে পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সেক নজরুল ইসলাম উপস্থিত হন। ছেলের বাবা শাহ আলম ফকির সালিশে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে টের পেয়ে তিনি আর সেখানে উপস্থিত হননি। এ কারণে ঐ দিন বিষয়টি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয় তারা। অথচ পালং মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান রবিবার দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের বলেন, সে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এদিকে মেয়ের বাবা ও মামা পালং মডেল থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বলেছে আগে মেয়ের চিকিৎসা করেণ তারপর মামলা করতে আসবেন। এ কথা শুনে তারা মামলা করতে না পেরে ফেরত চলে যায়। রবিবার দুপুরে পুনরায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে খোরশেদ ফকির ও তার ২ সহযোগী দিপু হাওলাদার ও রাসেদ ছৈয়ালকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ফারুক হোসেন বলেছেন এখন মামলা নেয়া যাবে না। ওসি স্যার নেই। সে বিকেলে আসলে তখন মামলা করতে আসবেন। ঘটনার পর থেকে খোরশেদ ফকির পলাতক রয়েছে। পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সেক নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার আমি ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গিয়েছিলাম গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে। সেখানে রাস্তায় লোকজনে ভিড় দেখে কাছে যাই। শুনলাম একটি ঝামেলা হচ্ছে। পালং মডেল থানার ডিউডি অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, আমার কাছে মামলা করতে রবিবার সকালে এলে আমি বলেছি ওসি স্যার এসপি অফিসে গেছে। সে এলে মামলা করতে আসবেন। এদিকে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর চৌকিদার কান্দি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক বখাটে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (১২) একই উপজেলার রাজনগর চৌকিদার কান্দিতে তার নানি বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার রাতে চৈতি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়। এ সময় ওঁৎপেতে থাকা বখাটে আরিফ মুন্সি শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: