ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-বরিশাল সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৮ জুলাই ২০১৭

ঢাকা-বরিশাল সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার অংশ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের দুইপাশ গত ৭/৮ মাস ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখায় মূল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার অংশে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকির মধ্যে ৩০ কিলোমিটারের অংশে চলাচল করছে সহস্রাধিক যাত্রী ও মালবাহী পরিবহন। এ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাস ও পরিবহনের চালক এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল সড়কের দুইপাশ খুঁড়ে রাখায় প্রবল বর্ষণে পুরো মহাসড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন সাইড দিতে গিয়ে মহাসড়কের কোথাও না কোথাও গাড়ি খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি প্রায়ই মহাসড়কে যানজট লেগে রয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে মহাসড়কের দুইপাশ খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখায় বরিশালের প্রবেশদ্বার ভুরঘাটা, ইল্লা, বার্থী, কটকস্থল, নীলখোলা, টরকী, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, আশোকাঠী ফিলিং স্টেশন ও ব্র্যাক অফিসের সামনে, হরিসেনা, কাছেমাবাদ, লালপুল, মাহিলাড়া, বেজহার, বাটাজোর, উজিরপুরের বামরাইল, সানুহার অংশের অধিকাংশ স্থানের মূল সড়ক ক্ষতিগস্ত হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কবে নাগাদ পুরো কাজ সম্পন্ন হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। ফলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শুরু থেকেই মন্থর গতিতে কাজ চলায় মহাসড়কের এ করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা থেকে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়কের বর্ধিতকরণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের জুলাই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে কিন্তু এখনও অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। যে কারণে চুক্তির সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দুলাল কুমার প্রামাণিক জানান, বর্ষণের কারণে বিটুমিন দিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না, ফলে মহাসড়কের বর্ধিতকরণ কাজ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। বৃষ্টি কমলেই দ্রুতগতিতে পুরো কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×