ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি সন্ত্রাসী দল

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২২ জুলাই ২০১৭

বিএনপি সন্ত্রাসী দল

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ওয়াশিংটন টাইমস সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে উল্লেখ করে কানাডার একটি উচ্চ আদালতের দেয়া সাম্প্রতিক এক রুলিংয়েরও উল্লেখ করা হয়। ‘বাংলাদেশে রাজনীতির নামে সন্ত্রাস’ শিরোনামে ১৯ জুলাই পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য বিএনপির সমালোচনা করে বলা হয়, দলটি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে সংসদে অবস্থান হারায়। তখন তারা জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়। বিএনপির এই সন্ত্রাসী কর্মকা-ে দু’শতাধিক লোক প্রাণ হারায় এবং এক হাজার এক শ’র বেশি লোক আহত হয়। বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজপথে হাজার হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এতে বলা হয়, এটি কোন বিরোধী দলের কর্মকা- নয়, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকা-। নিবন্ধের শিরোনামের পাশে বিএনপির দলীয় পতাকা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগের একটি ইলাস্ট্রেশনও দেখানো হয়। বিশ্লেষণে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কিছু পশ্চিমা মিডিয়া ও বেসরকারী সাহায্য সংস্থার সমালোচনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিবন্ধে বিরোধী দলের সদস্যদের এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-কে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। নিবন্ধে একটি অভিবাসন মামলায় কানাডার একটি উচ্চ আদালতের দেয়া রুলিংয়ের উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে বিএনপি আবারও এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত হতে পারে। নিবন্ধে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকার দায়ে কানাডায় এক বিএনপি নেতার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না দেয়ার সেদেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জজ হেনরি এস ব্রাউনের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করা হয়। কানাডার আদালতের রুলিংয়ে ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের পর বিএনপির সন্ত্রাসী ও বোমা হামলার ঘটনা বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভের পর প্রায় মাসব্যাপী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও আওয়ামী লীগ সমথর্কদের ওপর বেপরোয়া সন্ত্রাস চালায়। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, জয়লাভের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তার এই পদক্ষেপ প্রশংসিত হয় এবং ক্ষমতায় তার টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। নিবন্ধের মন্তব্যে বলা হয়, জামায়াত জোটের শরিক দল হওয়ায় এই বিচার প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়। জামায়াতের নেতাকর্মীরা সে সময় নৃশংস হত্যাকা-ে অংশ নেয়। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। এতে আরও বলা হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকার যখন একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তখন বিএনপি ও জামায়াত এই ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তারা দেশব্যাপী হরতাল-ধর্মঘটের মতো কর্মসূচী দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকা- ক্ষতিগ্রস্ত করে। পত্রিকায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই সন্ত্রাসী কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াত থেকে দূরে থাকতে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়। নিবন্ধে বলা হয়, বিএনপিকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জামায়াতের সঙ্গে থাকবে, না বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় শামিল হবে।
×