ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে সেতু পুনর্নির্মাণ না করায় দুই লাখ মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২২ জুলাই ২০১৭

রূপগঞ্জে সেতু পুনর্নির্মাণ  না করায় দুই লাখ মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২১ জুলাই ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন-ছনপাড়া সড়কের রানীপুরায় ব্রিজ পুনঃনির্মাণে দুই লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর হতে পারে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী সিরাজ, মোবারক, ফজলুল হক, তোফাজ্জল, জালাল উদ্দিন, সাত্তার, মনসুর, সোহেল, সজিব, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে রানীপুরায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে ৭-৮ বছর আগে ব্রিজের কিছু অংশে ফাটল দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে গেল দুই বছর ধরে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশের ইট, বালি ও ঢালাইয়ের অংশ খসে পড়তে থাকে। এক সময় রড-ই যেন ব্রিজের এক মাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিজে রেলিং, বিম আর প্রতিটি পিলারেই রয়েছে অসংখ্য ফাটল আর ধসে পড়া অংশে আটকে আছে রডের বড় বড় খাঁচা। পিলালের গোড়ায় মাটি না থাকায় গাড়ি চলার সময় ব্রিজটি অতিমাত্রায় কাঁপতে থাকত। এদিকে, ঢাকা-সিলেট ও মদনপুর-গাজীপুর মহাসড়কের লিংক রোড হওয়ায় এ ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ মালবাহী ট্রাক-লরিও চলতে দেখা যেত। ব্রিজটি দিয়ে গাড়ি আসার সময় জায়গার সঙ্কটে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য আরেকটি গাড়ি অতিক্রম করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। এতে প্রায়ই ব্রিজ ও তার আশপাশে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকত। অন্যদিকে কাঞ্চন পৌরসভা এবং ভোলাব ইউপির একমাত্র সংযোগস্থল এ ব্রিজটি দিয়ে রানীপুরা, করাটিয়া, পুবেরগাঁও, ছনপাড়া, আতলাপুর, ভোলাব, কেরাবো, নোয়াগাঁও, কেন্দুয়াসহ আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত। তাছাড়া ব্রিজটি দিয়েই প্রতিদিন ১৪-১৫টি সরকারী-বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। ব্রিজের পাশেই রয়েছে স্থানীয় হাট-বাজার। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা ব্রিজেই আসা-যাওয়া করত তারা। ব্রিজটি এক সময় ভঙ্গুর হয়ে পড়লে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরও সব ধরনের গাড়িই অবাধে চলতে দেখা যেত। ইতোমধ্যে একাধিক আহতের ঘটনাও ঘটে এ ব্রিজে। স্থানীয়রা আরও জানান, গত বছরের শেষের দিকে ব্রিজটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলার পর প্রায় বছরখানেক চলতে থাকলেও পুনঃনির্মাণের কোন কাজই দেখা যাচ্ছে না। তবে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে দিলেও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এহসান জানান, আপাতত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
×