ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চরম জনবল সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২২ জুলাই ২০১৭

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চরম জনবল সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জনবল সঙ্কটে পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। দিন দিন দক্ষ শ্রমিক চাকরি হতে অবসরে যাওয়ায় কারখানাটির এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দাবি উঠেছে, সৈয়দপুর রেল কারখানাটির জরুরী কার্যক্রম চালু রাখতে দ্রুত নতুন করে শ্রমিক নিয়োগের। রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়ে চলছে রেল কারখানাটি। বর্তমানে শ্রমিকের সংখ্যা রয়েছে শতকরা ৩৭ ভাগ। জনবল এতটাই সঙ্কটে রয়েছে যে, কারখানার অভ্যন্তরে ২৯টি শপের ভারি মেশিনগুলোর বেশিরভাগই চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অধিকাংশ শপে প্রয়োজনীয় লোকবল অর্ধেকেরও কম, আবার কোন কোন শপে শতাধিক শ্রমিক প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। ক্যারেজ এ্যান্ড ওয়াগন শপের শ্রমিক জহির উদ্দিন বলেন, এত কম লোকবল নিয়ে রেলকোচ মেরামতসহ রেলের যন্ত্রাংশ তৈরি কঠিন কাজ। এটাকে বলা যায়, জোড়াতালি দিয়ে চলা। শুক্রবার কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এভাবে লোকবল কমতে থাকলে এক সময় হয়তো এখানে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন বলেন, আমরা ভীত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার লোকবল সঙ্কটের বর্তমান চিত্র দেখে। যে হারে দক্ষ শ্রমিক অবসরে যাচ্ছেন তাদের জায়গা পূরণ হবে কীভাবে? দক্ষ কারিগর তৈরি হতেও সময়ের প্রয়োজন। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে দক্ষ কারিগরের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করবে। শ্রমিক সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা জানান, আদালতে মামলাজনিত কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ থাকায় জনবল নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে জনবল নিয়োগ দেয়া হলে উপকৃত হবে কারখানাটি। উল্লেখ্য, ১৮১৯ সালে সৈয়দপুরে ১১০ একর জমির ওপর স্থাপিত হয় অসম বেঙ্গল রেলওয়ে কারখানা। সে সময় ভারতের বিহার থেকে এখানে শ্রমিক এনে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। দেশভাগের পর রেল কারখানাটি আগের মতোই চলছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ধীরে ধীরে জনবল কমতে থাকে।
×