ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে সরকারী খাল চেয়ারম্যানের দখলে

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২১ জুলাই ২০১৭

পটুয়াখালীতে সরকারী খাল চেয়ারম্যানের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২০ জুলাই ॥ মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের একটি সরকারী খালে দুই কিলোমিটারজুড়ে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ কারণে খালের পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকশত মানুষ নানা প্রয়োজনে ওই খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবে পানি চলাচল করতে না পারায় বর্ষা মৌসুমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাঁকড়াবনিয়া ইউনিয়নের বৈদ্যপাশা ভারানির খালে দুই কি.মি. এলাকাজুড়ে দুই পাশে বাঁশের বেড়া এবং নেট দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কৃষকদের স্বার্থের কথা না ভেবে খালের দুই প্রান্তে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ চাষ করছেন। খালের দুই পারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত এ খালের পানি কৃষিকাজ, রান্না-বান্না ও গোসলসহ নানা কাজে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু মাছ চাষের ফলে ধীরে ধীরে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে ওই খালে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পশু, পাখির মৃতদেহ ও নানা প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, চেয়ারম্যান সরকারদলীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে না। তার বোনের বর্তমান যুবদলের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঞ্জারুল ইসলাম মাসুদকেক সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত ওই খালটি দখল করে মাছ চাষ করছেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে ওই খালে মাছ চাষ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ওই খালে মাছ চাষের কোন অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। যদি কেউ মাছ চাষ করে থাকে তা অবৈধ। জনসাধারণের স্বার্থে তা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। নড়াইলে যুবলীগ নেতাসহ ১৫ জুয়াড়ি আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ২০ জুলাই ॥ লোহাগড়ায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে যুবলীগ নেতাসহ ১৫ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জুয়ার ৫৭ হাজার ৫০২ টাকা, গাঁজা ও ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম এবং তাস উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, হোটেল দুটিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়াসহ মাদকের আড্ডা চলে আসছিল। রাতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ হোটেল দুটিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বৈশাখী আবাসিক হোটেল থেকে নয় জুয়াড়ি এবং টাইটানিক ক্লাব থেকে ছয় জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- বৈশাখী আবাসিক হোটেলের মালিক আসলাম উদ্দিন ঠা-ু, লোহাগড়া সরদারপাড়ার বিষু কর্মকার, মদিনাপাড়ার মিরাজ শেখ, পোদ্দারপাড়ার ইকরাম শেখ, লোহাগড়া কলেজপাড়ার উজ্জ্বল হোসেন মোল্যা, খায়রুজ্জামান, আজিম শেখ, গৌরচন্দ্র সাহা, তেলকাড়া গ্রামের নান্টু সিকদার, চাঁচই গ্রামের শওকত হোসেন, জয়পুর গ্রামের শেখ কামাল হোসেন, বাহিরপাড়া গ্রামের আসলাম শেখ, পারমল্লিকপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মঙ্গলহাটা গ্রামের বাবুল হোসেন উজ্জ্বল ও ধোপাদহ গ্রামের রবিউল ইসলাম।
×