ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পেলেন স্কুলের সভাপতি

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২১ জুলাই ২০১৭

নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পেলেন স্কুলের সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুরের রাজগঞ্জের মোবারকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পেয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম। নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি সভাপতির পদ ত্যাগ করে প্রার্থী হন। আর এই নিয়োগে নিয়োগ কমিটি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই টাকার বিনিময়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলের একজন সভাপতি কিভাবে পিয়নের কাজ করবেন এই নিয়ে হাসিঠাট্টাও চলছে। নিয়োগের নীতিমালায় প্রার্থীদের বয়স ১৮-৩০ এর মধ্যে থাকার কথা থাকলেও নজরুল ইসলামের বয়স ৩১ বছর ৭ মাস চলছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিয়ম না থাকলেও এই বয়সে তাকে কিভাবে চাকরি দেয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসচিব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ নন্দী বলছেন, জানা মতে তো এমন ভুল হওয়ার কথা নয়। যদি তেমনটি হয় তাহলে এই নিয়োগ টিকবে না। জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২২ জুন মনিরামপুরের ৪৬টি সরকারী প্রাইমারী স্কুলে নৈশপ্রহরী নিয়োগ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করে। সে মোতাবেক ২৮ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ওই পদে নিয়োগদানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগ্রহী প্রার্থীগণের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করে। অফিসের এ আদেশের প্রেক্ষিতে মোবারকপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ওই পদে নিয়োগ পেতে নজরুল ইসলামসহ আবেদন করেন ৬ জন। এদের মধ্যে নজরুল ওই স্কুলের সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি। তিনি স্থানীয় দাড়িয়াপাড়া এলাকার আমানত আলী দাড়িয়ার ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, এই নজরুলের সরকারী চাকরির বয়স পেরিয়েছে আরও দেড় বছর আগে। কিন্তু তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরিটা বাগিয়েছেন। আর নিয়োগ বোর্ডও অবৈধ জানা সত্ত্বেও নজরুলকে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২৮ জুনে তার বয়স হয় ৩১ বছর ৬ মাস ১৩ দিন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার তালিকা দেখে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। নজরুল ইসলামের আইডি নম্বর- ৪১১৪২৭৬১২৮৩০। সেখানে তার জন্ম তারিখ ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৬, অর্থাৎ আবেদনের সময় তার বয়স হয় ৩১ বছর ৭ মাস। কিন্তু এই নিয়োগে সরকারী বিধিমতে ১৮ থেকে ৩০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের নিয়োগ তো দূরের কথা আবেদনপত্রই অবৈধ। তাহলে ইউএনও সরকারী কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে এ নিয়ম ভঙ্গ করলেন-এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শতভাগ অনিয়মের মাধ্যমেই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন। এদিকে নজরুল পদত্যাগ করার পর স্কুলের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেরুন নেছাকে সভাপতি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কমিটি অনুমোদন পাওয়ার আগেই নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সদ্য বিদায়ী ইউএনও অতুল মন্ডল স্কুলের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেরুন নেছাকে নিয়ে বোর্ড বসিয়ে নজরুলকে নিয়োগ দেন। জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার নন্দী বলেন, ‘এমনটিতো হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
×