ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আশুলিয়ার গ্রেফতার জঙ্গি আলমগীরের বাড়ি সুনামগঞ্জে

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৯ জুলাই ২০১৭

আশুলিয়ার গ্রেফতার জঙ্গি আলমগীরের বাড়ি সুনামগঞ্জে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ১৮ জুলাই ॥ আশুলিয়ার ‘জঙ্গী আস্তানা’ থেকে গ্রেফতার হওয়া চার ‘জঙ্গী’র একজন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের হুগলী কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন। আলমগীরের দাদা আব্দুল করিম মুক্তিযুদ্ধের সময় চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আব্দুল হান্নান ও আকলিমা দম্পতির ৩ ছেলে এক মেয়ের মধ্যে আলমগীর বড়। জামালগঞ্জের কৃষ্ণনগর গ্রামে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে আটক জঙ্গী আলমগীর হোসেন সিলেট ও সুনামগঞ্জের মাছিমপুর জামেয়া ইসলামিয়া, জামলাবাজ মাদ্রাসা, কামরুপদলং মাদ্রাসা, গাজীনগর মাদ্রাসা, হায়দরপুর মাদ্রাসাসহ পাঁচটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। সংসারের সীমাহীন অভাব অনটনের জন্য গত বছর তাকে এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় নরসিংদীর একটি সুতার কারখানায় কাজের ব্যবস্থা করে দেন তার বাবা। সর্বশেষ মার্চ মাসে গ্রামের ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিল। সে সময় ‘আলমগীর’ গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন অবস্থানও করেছে। গত দুই মাস ধরে তার পরিবারের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ নেই এমনকি সংসারের খরচের জন্য কোন টাকা পয়সা সে বাড়িতে পাঠাত না বলে জানালেন তার বাবা আব্দুল হান্নান। আালমগীরের বাবা ৭ বছর আগে সিলেট শহরের মাছিমপুর এলাকায় হকার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তিনি গ্রামে ফিরে এসে সরকারী জায়গায় ঘর তৈরি করে সপরিবারে বসবাস করতে শুরু করেন। কিন্তু তেমন আয়রোজগার না থাকায় সংসারের স্বাচ্ছন্দ্য আসেনি। আলমগীর জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত একথা তার স্বজনরা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তবে তারা জানান খুব ধার্মিক প্রকৃতির ছেলে ছিল ‘আলমগীর’। চলতি বছর মার্চে বাড়ি এসে কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কৃষ্ণনগর গ্রামের আলমগীরের চাচাতো ভাই আলেক নূর বলেন, সে মিশুক প্রকৃতির ছিল। সবার সঙ্গে মিলে মিশে থাকত। হঠাৎ করে কিভাবে আলমগীর জঙ্গীবাদে জড়াল তারা তা ভেবে পাচ্ছেন না।
×