ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৯ জুলাই ২০১৭

মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ১৮ জুলাই ॥ হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নৌকার মাঝি আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান। সাজাপ্রাপ্ত ওই তিন আসামির প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- এবং পেনাল কোডের অন্য দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং অর্থদ- করা হয়েছে। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলোÑ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পীরের চর গ্রামের মনিরুল ইসলাম, পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ গ্রামের রাসেল মোল্লা ও কার্তিক হাওলাদার। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা হাটের নৌকা ঘাট থেকে আবদুর রাজ্জাকের নৌকাটি ভাড়া করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ৫ যুবক। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজ্জাকের ভাই লাল্টু মল্লিক ঘাটে গিয়ে অন্য মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে নৌকাটি ১ হাজার ৬০০ টাকায় ভাড়া করে ওই যুবকেরা। রাজ্জাকের কোন খোঁজ না পেয়ে রাজ্জাকের ভাই নান্টু মল্লিক ৯ অক্টোবর হরিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে হরিরামপুর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী এলাকা থেকে নৌকাটি উদ্ধার করলেও রাজ্জাকের কোন সন্ধান করতে পারেনি। এদিকে নৌকার মাঝি রাজ্জাককে ফেরত দেয়ার কথা বলে নান্টু মল্লিকের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে আসামিরা বিভিন্ন সময় ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরে, পুলিশ ওই তিন আসামি মনিরুল ইসলাম, রাসেল মোল্লা ও কার্তিক হাওলাদারকে আটক করে। আসামিরা জানায়, মাঝিকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। এ পর্যন্ত লাশের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। চাঁদপুরে যুবকের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, কচুয়া উপজেলায় সিংআড্ডা গ্রামে ২০ টাকা লেন-দেনকে কেন্দ্র করে এনামুল হককে (২৪) ছুরিকাঘাতে খুন করার দায়ে মোহাম্মদউল্লা নামে যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন। মোহাম্মদ উল্লা সিংআড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত এনামুল হক একই গ্রামের কারি আলী আহম্মদের ছেলে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিংআড্ডা বাজারে মোহাম্মদউল্লা এনামুল হকের কাছে ২০ টাকা দাবি করেন। এনামুল টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাগবিত-ার একপর্যায়ে মোহাম্মদউল্লা ছুরি দিয়ে তার পিঠে আঘাত করে। এনামুল চায়ের দোকানে প্রবেশ করলে সেখানে গিয়েও মোহাম্মদউল্লা তার পেটের মধ্যে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
×