ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাফিক সার্জেন্টকে জবি ছাত্রদের মারধর ॥ রমনা থানায় মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৯ জুলাই ২০১৭

ট্রাফিক সার্জেন্টকে জবি ছাত্রদের মারধর ॥ রমনা থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উল্টো পথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাস যেতে বাধা দেয়ার সূত্র ধরে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে কয়েক ছাত্রের মারধরের ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জন ছাত্রকে। মঙ্গলবার রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। মামলার এজাহারে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তার বাংলামোটরে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। যথারীতি তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকেল পাঁচটার খানিক পরে রূপসী বাংলা হোটেল ক্রসিং থেকে ফার্মগেট অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি দোতলা বাস আকস্মিকভাবে আইন অমান্য করে বিপরীত লেন দিয়ে যেতে থাকে। তিনি লেন পরিবর্তন করে সঠিক পথে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা গতিপথ রোধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। সঠিক পথে যেতে বলায় বাস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র নেমে তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। উল্টো পথে যেতে না দিলে তারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এজাহারে আরও বলা হয়, ততক্ষণে ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর পযন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাদের পুনরায় সঠিক পথে যেতে বলা হয়। তখন ৩০-৪০ জন ছাত্র তাকে চারদিক থেকে ঘিরে মারধর করে। তাকে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। তার পোশাক টানাহেঁচড়া করে ছিঁড়ে ফেলে। তার চিৎকার শুনে পাশে থাকা টিআই (ট্রাফিক পরিদর্শক) দেলোয়ার হোসেন ও সার্জেন্ট আনিসুল হকসহ অন্য অফিসার ও ফোর্স গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানান। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি দায়ের করতে দেরি হলো। বিষয়টি সম্পর্কে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জনকণ্ঠকে বলেন, মূলত সরকারী কাজে বাধা দান এবং দায়িত্বরত একজন পুলিশের গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
×