ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিটনেস ট্রেনিং উপভোগ করছেন ইমরুল

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৪ জুলাই ২০১৭

ফিটনেস ট্রেনিং উপভোগ করছেন ইমরুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। এই ট্রেনিংয়ে সবাই খুব সিরিয়াস। এমনই মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। তিনি বলেছেন, ‘ফিটনেস ট্রেনিং অবশ্যই ইনজয় করছি। বছরে একবার এ রকম সুযোগ থাকে ফিটনেস ট্রেনিং করার। একটা ফিটনেস ট্রেনিং করলে এক-দুই বছর ভালমতো ক্রিকেট খেলা যায়। এখানে সবাই খুব সিরিয়াস। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব সিরিয়াস।’ সিরিয়াস না হয়েও উপায় নেই। ফিটনেস লেভেলটা যার যত ভাল, তার জাতীয় দলে নিয়মিত খেলে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। তাইতো ফিটনেসটাই আসল। যে ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েই নাড়াচাড়া হয়। কার কি অবস্থা দেখা হয়। সেই অনুযায়ী পরে দলে টিকে থাকার সম্ভাবনার বিষয়টিও জেগে ওঠে। পারফর্মেন্সতো মাঠে খেলতে নামলে দেখানো যায়। কিন্তু ফিটনেসটা মাঠের বাইরেই আগে দেখাতে হয়। তাই ক্রিকেটাররা ফিটনেস ট্রেনিং নিয়ে সিরিয়াস থাকেন। তাছাড়া এই ট্রেনিং করার সুযোগটাতো মিলে যে সময় দীর্ঘ সময় ধরে খেলা থাকে না তখনই। এরআগে ২০১৫ সালের আগস্টে ফিটনেস ট্রেইনিং হয়। এরপর গতবছর জুলাইয়েও ফিটনেস ট্রেনিং হয়। দুই ফিটনেস ট্রেনিংয়েই ক্রিকেটারদের কাজে লাগে। এ মাসব্যাপী ট্রেনিংয়ের ফল এক বছর ধরে ভোগ করে ক্রিকেটাররা। তা খেলাতেও প্রভাব পড়ে। ২০১৫ সালতো বাংলাদেশের সোনালী বছর। এরপরও সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে। ইমরুল তাই বলেছেন, ‘দেখুন আমি মনে করি এখন আমাদের কন্ডিশনে আমরা টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরমেটেই ভাল। শেষ আমরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে কঠিন কন্ডিশনে খেলেছি। ফল পেয়েছি। আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিমিলার কন্ডিশন কিংবা এ রকমই হবে। আমরা মানসিকভাবে নিজেরা প্রস্তুত হচ্ছি। ওই পর্যায়ে খেলার জন্য কিভাবে প্রস্তুত হওয়া দরকার, প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান-প্রত্যেকটা বোলার ওভাবেই রেডি হচ্ছে।’ উইকেটে সেট হওয়া নিয়ে ইমরুল জানান, ‘আমার কাছে মনে হয় ভারতের উইকেট ও বাংলাদেশের উইকেট সিমিলার না। আমাদের দেশের উইকেট ওদের মতো এতটা ডিফিকাল্ট না। আমাদের এখানে রান করা যায়। আর ওদের ওখানে তৃতীয়-চতুর্থদিনে উইকেটে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। আমার মনে হয় এসব দিকগুলোয় আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি সেট হয়ে যায়, বড় রান করতে পারে যেটা শেষ ইংল্যান্ড সিরিজে হয়েছে, তামিম হান্ড্রেড করেছে, বড় ইনিংস খেলেছে। একজন ব্যাটসম্যান যখন সেট হয়ে যাবে তখন সেটা কন্টিনিউ করার চেষ্টা করবে, এটা আমাদের প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানের টার্গেট।’ অবশ্য হঠাৎ করে ম্যাচ খেলতে নামলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। যা ইমরুলের বেলাতে হয়। তাই ইমরুল জানান, ‘এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না। আপনি হঠাৎ করে যদি একটা ম্যাচ খেলেন তখন কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া ভাল। মানসিকভাবে আমার মনে হয় এটা সবাই রেডি থাকে ভাল একটা সুযোগ পাবে। কাজে লাগাবে। আমার মনে হয় এ জিনিসগুলো ইতিবাচক চিন্তা করাই ভাল। একটা সুযোগ আসলে সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।’ নিজের কাজ ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেন ইমরুল। বাকিটা টিম ম্যানেজমেন্ট নির্ধারণ করেন, ইমরুল কোন ম্যাচে খেলবেন। কোন ম্যাচে খেলবেন না। ইমরুলই জানালেন, ‘দেখুন আমি আমার কাজটা করার চেষ্টা করি যখনই সুযোগ পাই। আপনারাও সেটা দেখেছেন যে আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি তখনই পারফর্ম করেছি। ম্যানেজমেন্ট হয়তো আমাকে নিয়ে ভিন্ন কিছু চিন্তা করে। যার জন্য আমি হয়তো রেগুলার হতে পারি না। কিন্তু আমি আমার চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। যতদিন খেলব চেষ্টা করব। যদি উনারা চিন্তা করেন আমাকে নিয়ে কন্টিনিউ করতে পারবেন তখন ভিন্ন কিছু হতে পারে।’ একজন ব্যাটসম্যানের শক্তিশালী ও দুর্বল জায়গা থাকে। ইমরুল তা নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, ‘না বিশেষভাবে কোন কিছু না। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানেরই উইক পয়েন্ট, স্ট্রং পয়েন্ট থাকে। কোন ব্যাটসম্যানই একটা জায়গাতে হান্ড্রেড পারসেন্ট স্ট্রং হতে পারে না। সবারই দুর্বল জায়গা থাকে। আমার মনে হয় এ দিকটা আমিও চেষ্টা করি যে জায়গাটায় ল্যাকিংস আছে সে জায়গায় কাজ করা। জায়গার বিষয়টি জাতীয় দলে ওপেনিংয়ের জায়গাটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। একটু খারাপ খেললেই ওখান থেকে সাইড হতে হয়। যেই সুযোগ পায় সেই চেষ্টা করে জায়গাটি ধরে রাখার জন্য। আমিও আট বছর ধরে এ চেষ্টাই করছি। কিছু ম্যাচ ভাল খেলি, আবারও কামব্যাক করি, আবারও খারাপ করি। এগুলোর মধ্যদিয়েই চলছে। তারপরও চেষ্টা করছি আরও ভাল করার।’
×