ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)-খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব

আরও কঠোর অবস্থানে স্মিথরা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১০ জুলাই ২০১৭

আরও কঠোর অবস্থানে স্মিথরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বেতনভাতা ও লভ্যাংশ বন্টন নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও দেশটির খেলোয়াড়দের মধ্যকার অচলাবস্থা আরও জটিল রূপ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) আন্দোলনের সামনে থাকলেও বর্তমান খেলোয়াড়দের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারকা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এ নিয়ে কথা বলেননি স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক এবার এসিএ’র সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন। কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিলেন, দাবি-দাওয়া প্রশ্নে এতটুকু ছাড় দেবেন না তারা। তুঙ্গে ওঠা দ্বন্দ্বের সময়টাতে পরিবার নিয়ে মার্কিন মুলুকে অবকাশ যাপনে ছিলেন। এসিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সতীর্থদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল হয়ে গেছে, শঙ্কায় অসিদের বাংলাদেশ সফর, দুই বড় দেশ ভারত-ইংল্যান্ডও সমস্যা মেটাতে সিএ’র ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, এমন পরিস্থিতিতে আরও কঠোর স্টিভেন স্মিথ। ইনস্টাগ্রামে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক লিখেছেন, ‘ক্রিকেটাররা অনেকদিন ধরেই যা বলে আসছে সেটা হলো- আমরা লভ্যাংশ ভাগাভাগির অংশটি কোনভাবেই ছেড়ে দেব না। এসিএ বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছে। যেখানে বর্তমান মডেলকে আরও উন্নত করতে চান তারা। আমরা সেই পরিবর্তনের পক্ষেই আছি। যাতে তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যায়।’ যুক্তি দেখিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার ক্যারিয়ার থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নয়নের সুফলটা আপনি দেখবেন। ২০১১ সালে যখন আমি বাদ পড়ি, তখন যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল কিছু করে না দেখাতাম তাহলে আজকের অবস্থানে আসতে পারতাম না। আমরা যা নিয়ে লড়াই করছি তা হলো ক্রিকেটারদের ন্যায্য পাওনা। ক্রিকেটই যাদের জীবন।’ অসিদের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন এসিএ অনেকদিন ধরেই কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলছে। ক্রিকেটারদের নিয়ে আগের সমঝোতা চুক্তি চান না তারা। সেই পরিবর্তনের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করেন অধিনায়ক। স্মিথ উল্লেখ করেন, ‘এসিএ বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছে। যেখানে বর্তমান মডেলকে আরও উন্নত করতে চান তারা। আমরা পরিবর্তনের পক্ষে আছি। যাতে করে তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যায়। এসিএ’র এই আন্দোলনে নেতা হিসেবে ওয়ার্নার, মেগ ল্যানিং এ্যালেক্স ব্ল্যাকওয়েল এবং আমি যে কারণে লড়াই করছি সেটা হলো ক্রিকেটারদের ন্যায্য পাওনা, যারা এই ক্রিকেটের সঙ্গেই সম্পৃক্ত।’ সমঝোতা চুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকবারই আলোচনায় বসেছে দুইপক্ষ। যদিও কোন ফল আসেনি। বলা হচ্ছে সোমবার (আজ) ফের আলোচনায় বসবে সিএ ও এসিএ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নীতি মেনে নিতে না পারায় জাতীয় দলসহ চুক্তিবদ্ধ অধিকাংশ খেলোয়াড় সর্বশেষ চুক্তিতে সাইন করেননি। ফলে ১ জুলাই থেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ‘বেকার’ হয়ে পড়েছেন। এই তালিকায় আছেন ২৩০ ক্রিকেটার। ‘এ’ দল জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করায় এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল হয়ে গেছে। বলতে গেলে পরিস্থিতি অনেকটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আগামী মাসে বাংলাদেশে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। এরপর ভারতে ওয়ানডে সিরিজ। সিএ-এসিএ’র কঠোর অবস্থান দেখে ভারত এরই মধ্যে বিকল্প হিসেবে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে। অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে এ্যাশেজে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডও। ইংলিশরা বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় আবার সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে।
×