ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইএইএ ডিজি আজ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র দেখতে যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩ জুলাই ২০১৭

আইএইএ ডিজি আজ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র দেখতে যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের অগ্রগতি দেখতে আজ সোমবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক (ডিজি) ইউকিয়া আমানোর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কোন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করতে হলে আইএইএ তার তত্ত্বাবধান করে থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও আইএইএ এর গাইড লাইন অনুসরণ করে রূপপুর কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। জানতে চাইলে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান জনকণ্ঠকে বলেন, আইএইএ সারাবিশ্বের কোথায় কোথায় পরমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হয় তা পর্যক্ষেণ করে। আমাদের এখানেও তাই করছে। আমাদের জন্য আশার খবর হচ্ছে সরাসরি আইএইএ ডিজি আসছেন। আজ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত প্রকল্প এলাকায় তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইউকিয়া আমানোর স্ত্রী ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সংস্থার পারমাণবিক উন্নয়ন অবকাঠামোর প্রধান মিলকো কোভাশেভ এবং মহাপরিচালকের অফিসের প্রধান সমন্বয়ক সোভা কামিশিমা। রূপপুর পরিদর্শনের পর আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক করার কথা রয়েছে। চলতি বছর শেষ দিকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজ শুরুর কথা। এর আগে এই সফরকে অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের এফসিডি নির্মাণের উদ্বোধনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রাশিয়া সফরের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেদ মেদেভেকে আগামী সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান। রূপপুর পরমাণু প্রকল্প এলাকায় কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রপাতি আসা শুরু করবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে। এসব ভারি যন্ত্রপাতি রাশিয়া থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হয়ে নৌ ও রেলপথে পাবনার রূপপুর প্রকল্প এলাকায় যাবে। এ জন্য চট্টগ্রাম থেকে পাবনার রূপপুরে পদ্মা নদীর নাব্য ভারি যন্ত্রপাতি আনার জন্য আগামী এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে রেলপথে পাবনার ঈশ্বরদী ও সান্তাহার জংশন ভারি যন্ত্রপাতি নামানোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এমওইউ সই হয়। আর চূড়ান্ত চুক্তি সই হয়েছে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর। এ চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার ঋণ নিচ্ছে ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। এই পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে ৫০ বছর ধরে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৪ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
×