ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আল এ্যাকিন জঙ্গীদের ছুরিকাঘাতে ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান জখম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১ জুলাই ২০১৭

আল এ্যাকিন জঙ্গীদের ছুরিকাঘাতে ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান জখম

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র জঙ্গী সংগঠন আল এ্যাকিনের এবার টার্গেট ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (অনিবন্ধিত) কমিটির চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক। সশস্ত্র জঙ্গীরা আবু সিদ্দিককে ছুরিকাঘাতে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। মৃত ভেবে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। সাধারণ রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতির হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং বস্তির একটি চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে চাঁদা আদায়ে বিরোধিতাকারী তিন রোহিঙ্গাকে খুন করেছে আল এ্যাকিন ক্যাডাররা। এর মধ্যে রমজানের কয়েক দিন পূর্বে মালয়েশিয়া ফেরত বলি নামের (২৭) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা-পুলিশ। গত ১৩ জুন অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির মাঝি আয়ুব ও নিবন্ধিত ক্যাম্পের সেলিম নামে দুইজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে জঙ্গীরা। অপহৃতদের পরিবারের দাবি আল এ্যাকিন নামে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ক্যাডাররা দুই রোহিঙ্গা নেতাকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের ৬ দিনের মাথায় সেলিম (১৮জুন) ও ২৫ জুন আয়ুব মাঝির মৃতদেহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দক্ষিণে বালুখালী তেলীপাড়া খাল থেকে উখিয়া থানা-পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। উখিয়ার বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তিটি মিয়ানমারের দাগী ও বিদ্রোহী গ্রুপের ক্যাডারদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আল এ্যাকিন নামে নতুন রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্বে দৈনন্দিন সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের অপকর্ম। বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে ছদ্মবেশে অবস্থানকারী আল এ্যাকিন জঙ্গীরা নতুন করে তাদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অস্ত্রের প্রশিক্ষণও দিয়ে চলছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ইতোপূর্বে বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তি থেকে অন্যত্র সরবরাহ করার সময় রাতে উখিয়া পুলিশ ত্রাণসামগ্রীর বস্তাসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করলেও স্থানীয় ইউপি সদস্যের তদ্বিরের কারণে ছেড়ে দিয়েছে। জঙ্গী সংগঠন আল এ্যাকিনের নামে চাঁদা আদায়ে বিরোধিতাকারী রোহিঙ্গাদের (অনিবন্ধিত) চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিককে বৃহস্পতিবার রাতে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। তারা আবু সিদ্দিককে মৃতভেবে ফেলে চলে যায় জঙ্গীরা। এ ঘটনায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তিতে অস্ত্রধারী মিয়ানমারের জঙ্গীগোষ্ঠীর অন্তত ১১-১২ জন ক্যাডার রয়েছে। রোহিঙ্গাদের (ক্যাম্প) নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বালুখালী বস্তিটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র জঙ্গী সংগঠন আল এ্যাকিনের এবার টার্গেট ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (অনিবন্ধিত) কমিটির চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক। সশস্ত্র জঙ্গীরা আবু সিদ্দিককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। মৃত ভেবে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। সাধারণ রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতির হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং বস্তির একটি চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে চাঁদা আদায়ে বিরোধিতাকারী তিন রোহিঙ্গাকে খুন করেছে আল এ্যাকিন ক্যাডাররা। এর মধ্যে রমজানের কয়েক দিন আগে মালয়েশিয়া ফেরত বলি নামের (২৭) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা-পুলিশ। গত ১৩ জুন অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির মাঝি আয়ুব ও নিবন্ধিত ক্যাম্পের সেলিম নামে দুইজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে জঙ্গীরা। অপহৃতদের পরিবারের দাবি আল এ্যাকিন নামে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ক্যাডাররা দুই রোহিঙ্গা নেতাকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের ৬ দিনের মাথায় সেলিম (১৮ জুন) ও ২৫ জুন আয়ুব মাঝির মৃতদেহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দক্ষিণে বালুখালী তেলীপাড়া খাল থেকে উখিয়া থানা-পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তিটি মিয়ানমারের বিদ্রোহী ক্যাডারদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
×