ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোরসালিন মিজান

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৩ জুন ২০১৭

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

প্রায় শেষ হয়ে এসেছে রমজান। ঈদের অপেক্ষা এখন। কবে হবে মহোৎসব? সোমবার? নাকি মঙ্গলবার? আলোচনা চলছে। ঈদের বিপুল বিশাল প্রস্তুতির ফাঁকে ফাঁকে অনেকেই আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন। শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ একটু আধটু কি দেখা যাচ্ছে? সঠিক করে বলার জন্য একটি কমিটিও আছে বটে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাও কাজ শুরু করে দিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বসবেন তারা। চাঁদ দেখা গেল কি না জানাবেন। দেখা গেলে সোমবার ঈদ-উল ফিতর উদযাপনের সরকারী ঘোষণা আসবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে পিছিয়ে যাবে একদিন। মঙ্গলবার উদ্যাপিত হবে ঈদ-উল ফিতর। দুটো দিনের কথা মাথায় রেখেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঢাকাবাসীর ঈদের দিনের শুরুটা বলা চলে জাতীয় ঈদগাহ থেকে হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এসে হাইকোর্ট সংলগ্ন মাঠে সমবেত হন। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে। সঙ্গত কারণেই প্রস্তুতির ব্যাপার থাকে। এবারও রমজানের প্রথমভাগে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাঁশের তৈরি সুবিশাল কাঠামো দাঁড়িয়ে গেছে। উপরে টানানো হয়েছে তিরপল। ভূমি প্রস্তুত করার কাজও প্রায় সম্পন্ন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে মোট জায়গার পরিমাণ ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট। এক লাখ মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন। ৫০০০ নারীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রধান জামাত। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হয়ে ছুটি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। অবশ্য এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে শুক্র ও শনিবারের ছুটি। তারও আগে বৃহস্পতিবার থেকে ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বহু মানুষ। তাদের ছোটাছুটি এদিন খুব লক্ষ্য করা গেছে। কমলাপুর সায়েদাবাদ যাত্রাবাড়ী গাবতলী ও সদরঘাটের রাস্তাগুলোতে ভিড় লেগে ছিল। বাস ট্রেন লঞ্চ ধরা চাই। এক ধরনের হুড়োহুড়ি চলছিল যাত্রীদের মধ্যে। নগরীতে যানবাহনের চাপও কমে এসেছে। গণপরিবহন কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি আগের দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাঁকা। ঈদে গ্রামের বাড়ি যেতে অনেকেই বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কিনে রেখেছিলেন। অগ্রিম টিকেটের যাত্রীরা প্রথম দফায় ঢাকা ছেড়ে গেছেন বুধবার। বৃহস্পতিবার ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিনও অগ্রিম টিকেটের যাত্রীরা ট্রেন বাসে করে নিজ গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন। অবশ্য দুর্ভোগও সঙ্গী হয়েছে তাদের। নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়তে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। পাশাপাশি মহাসড়কে উঠতে গিয়ে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলোকে। এই দুর্ভোগ আরও বাড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
×